পুজোর আগে থেকেই বোনাসের অঙ্ক নিয়ে দড় কষাকষি চলছিল উত্তরবঙ্গের পাহাড়ের চা-বাগানগুলিতে। শ্রমিকরা ২০ শতাংশ হারে বোনাস চাইলেও, মালিকপক্ষ ১২ শতাংশের বেশি বোনাস দিতে রাজি ছিল না। বোনাস নিয়ে দফায় দফায় বৈঠকেও মেলেনি সমাধানসূত্র। গত তিরিশে সেপ্টেম্বর শ্রম দফতরের ত্রিপাক্ষিক বৈঠকও ভেস্তে যায়। এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের চা-বাগানগুলিতে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। অবশেষে শ্রম দফতরের উদ্যোগে কাটতে চলেছে চা-বাগানগুলির অলচাবস্থা। বৃহস্পতিবার নব মহাকরণে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলিকে নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করে শ্রম দফতর। বৈঠকে ঠিক হয়,
advertisement
মিটল বোনাস-সমস্যা
- শ্রমিকদের দাবি মেনে ২০ শতাংশ হারেই বোনাস দেওয়া হবে
- ২০ অক্টোবরের মধ্য মেটানো হবে বোনাসের ৬০ শতাংশ
- বাকি ৪০ শতাংশ বোনাস দেওয়া হবে নভেম্বরের পর
তবে দু'দফায় বোনাস নিয়ে মালিকপক্ষ রাজি থাকলেও, কিছুটা অখুশি শ্রমিক সংগঠনগুলি। পুজোর আগে থেকেই চা-শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাহাড়-রাজনীতি। শ্রমিকদের পাশে দাঁড়িয়ে আলাদা করে অনশনে বসেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিনয় তামাং। এরপরই সমস্যা সমাধানে তৎপর হয়ে ওঠে রাজ্য সরকার।