প্রয়োজনে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বঞ্চিতদের হয়ে আদালতে নিজে দ্বারস্থ হবেন বলেও সোমবার জনসভা থেকে বার্তা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে শুভেন্দু বললেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, এই টাকা মানুষের করের টাকা।’’ লক্ষ্য তৃণমূলের মহিলা ভোটব্যাঙ্কে ফাটল ধরানো। আর সেই লক্ষ্যেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রতি মাসে দু’হাজার টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় এলেই অসম, মধ্যপ্রদেশের মতো বাংলার সমস্ত মহিলাদের মাসে ৫০০ নয়, ২০০০ টাকা করে দেবে বিজেপি সরকার। প্রথম ক্যাবিনেট মিটিংয়েই এ ব্যাপারে প্রস্তাব পাশ করা হবে।’’
advertisement
প্রসঙ্গত, রাজ্যে মহিলা ভোটার প্রায় ৪৯ শতাংশ। সংখ্যায় ৩ কোটি ৫৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৩৭ জন। একুশের ভোটে ভোট দেন ২ কোটি ৯১ লক্ষ ৭৫ হাজার ২৮৮ জন মহিলা ভোটার। পর্যবেক্ষকদের মতে, একুশের ভোটের ফলে স্পষ্ট, মহিলাদের বিপুল সমর্থন পেয়েছে তৃণমূল। মহিলাদের জন্য মাসে মাসে পাঁচশো টাকা, এসসি-এসটি সম্প্রদায়ের মহিলা হলে মাসে হাজার টাকা। সরকারি তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৯৭ লক্ষ মহিলা প্রতি মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, বিরোধীরাও বুঝতে পারছে, মহিলাদের মন জয়ের অন্যতম হাতিয়ার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। শুভেন্দু অধিকারীকে পঞ্চায়েত ভোট প্রচারের সব রাজনৈতিক সভায় বলতে শোনা যাচ্ছে যে, ‘‘মা বোনেরা ভয় পাবেন না। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা তৃণমূলের নয়। একজনেরও যদি টাকা বন্ধ হয়, পঞ্চায়েত সদস্য ও মণ্ডল সভাপতিকে গ্যারেন্টার রেখে গেলাম। সুদ ও আসলের টাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন সরকারের কাছ থেকে আদায় করেই ছাড়ব।’’