এদিন মন বলেন, এই নিয়ে পাহাড়ের পাঁচ দলের সঙ্গে বৈঠক করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন। ফের ফেব্রুয়ারিতে দিল্লির সঙ্গে আলোচনা হবে। তবে খুব দ্রুত তা সমস্যার সমাধান করতে হবে।
তিনি সাফ বলেন, একটা আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তা চলবে। এক্ষুনি হতাশার জায়গা তৈরি হয়নি। দিল্লির ওপর ভরসা রাখতে হবে। সেইসঙ্গে বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুং মোর্চার দুই গোষ্ঠীই আসন্ন নির্বাচনে পাহাড়ে কোনো ফ্যাক্টর হবে না। মোর্চার দুই শিবিরই তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়ে লড়বে।
advertisement
কিন্তু এক মঞ্চে এখনও আসেনি দুই পক্ষই। জিএনএলএফ সভাপতি জানান, লোকসভা নির্বাচনে পাহাড়বাসী তা বুঝিয়ে দিয়েছে। এবারেও তাই হবে। ওদের সভায় লোক হচ্ছে, হবে। কিন্তু ভোট বাক্সে তার প্রতিফলন পড়বে না। পাহাড়ের তিনটি আসনেই তারা অনায়াসে জয় পাবেন মনে করছেন তিনি। বলছেন, আজ দার্জিলিংয়ের সভাতেই পরিষ্কার।
দার্জিলিংয়ের জিএনএলএফ বিধায়ক নীরজ জিম্বার গলাতেও ছিল একই সুর। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সুভাষ ঘিসিংয়ের দল। তবে নিজেদের প্রতীক নাকি পদ্ম প্রতীকে লড়বে তারা? জবাবে মন ঘিসিং বলেন, এ নিয়ে এখনও আলোচনা শুরুই হয়নি। আগে দিল্লি পাহাড়ের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করুক। তবে তাদের আশা, ভালো কিছুই ঘোষণা করবে। যা পাহাড়বাসীর পক্ষেই যাবে।
যদিও বিমলপন্থী মোর্চা একে গুরুত্ব দিতেই নারাজ। তাদের দাবী, ভোটের ফলেই সব পরিস্কার হয়ে যাবে। এই ধরনের প্রতিশ্রুতি একাধীকবার তাদের দিয়েছে দিল্লি। স্রেফ প্রতিশ্রুতিই রয়ে গিয়েছে। ভোট এলেই গোর্খাদের কথা মনে পড়ে বিজেপির।