বুধবার এমনই এক প্রতারণা চক্রের ঘটনা সামনে আসায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে। মালদহের মহকুমা শহর চাঁচলের পিডব্লুডি অফিসের থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে জাতীয় সড়কের ধারে রীতিমতো অফিস খুলে চলছিল প্রতারক চক্রের রমরমা। যার ফাঁদে পড়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খুইয়ে এখন মাথায় হাত বেকার যুবক যুবতীদের। দেওয়া টাকা ফেরতের দাবি তুলে এদিন ওই সংস্থার অফিসে গিয়ে সংস্থার কর্ণধারকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্রছাত্রী সহ অভিভাবকরা।
advertisement
খবর পেয়ে চাঁচোল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ওই সংস্থার কর্ণধারকে পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। এই বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ২২ জন ছাত্রছাত্রী বেঙ্গালুরুতে নার্সিং প্রশিক্ষণের জন্য ভর্তি হন। কেউ ৬০ হাজার, কেউ ৭০ হাজার, কেউ লক্ষাধিক টাকা দেন চাঁচলের ওই সংস্থার কর্ণধারকে।
এরপর বেঙ্গালুরু গেলে তাঁদের না দেওয়া হয়েছে প্রশিক্ষণ, না কোনও কলেজের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। আরও অভিযোগ, বেঙ্গালুরু গেলেও একটি হোটেলে রাখা হলেও কোনও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। ফলে সেখানে ছাত্রছাত্রীদেরকে চরম হেনস্থা হতে হয়। শেষপর্যন্ত কোনওরকমে তাঁরা পালিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। নেওয়া হয়নি কোনও পরীক্ষা।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর দেহ মিলল কলকাতায়, মৃত্যু ঘিরে রহস্য
সংস্থার মাধ্যমে নার্সিং প্রশিক্ষণে ভর্তি হওয়া পড়ুয়াদের অভিযোগ, দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা করে মাথাপিছু নিয়ে নার্সিং কোর্স করানোর কথা বলা হয়েছিল। কোর্সের শেষে চাকরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। পড়ুয়াদের শিক্ষা সংক্রান্ত আসল ডকুমেন্টগুলিও সংস্থা জমা রেখেছে বলেও অভিযোগ।
আরও পড়ুন, হাড়হিম কাণ্ড! ৮ বছরের কিশোরকে টেনে নিয়ে গেল কুমির, পরের ঘটনা মারাত্মক
ওই সংস্থার কর্ণধার কাঞ্চন গুপ্তার অবশ্য দাবি, তিনি নিজেও নাকি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ভিনরাজ্যের ওই সংস্থার অধীনে নার্সিং কোর্স পড়ানোর জন্য একজন এজেন্ট হিসেবে পড়ুয়াদের ভর্তি নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ওই সংস্থা এখন বেঁকে বসেছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।