গতকাল শিলিগুড়ির কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ছিল মুখ্যমন্ত্রীর সভা। সেই সভা থেকেই সবুজ সাথী প্রকল্পে স্কুল পড়ুয়াদের হাতে সাইকেল তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। ১ হাজার ৪০ জন পড়ুয়ার নাম ছিল।ওই তালিকায়। সেই মতো দুপুরেই মাঠে পৌঁছে যায় ছাত্র, ছাত্রীরা। হাতে ছিল প্ল্যাকার্ডও। তাদের লাঞ্চের জন্যে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে বিরিয়ানির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু তাতেই বিপত্তি! বিরিয়ানির প্যাকেট খুলতেই বাসি, পচা গন্ধ! বমি করতে শুরু করে অনেকেই। অসুস্থ বোধ করে শিলিগুড়ি বয়েজ স্কুলের বহু পড়ুয়া। তা নিয়ে রীতিমতো শুরু হয় শোরগোল। কেন ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়ার হাতে পচা বিরিয়ানির প্যাকেট? শুরু হয় দায়িত্বে কে ছিল তার খোঁজ!
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার হুঁশিয়ারির পরেও অনশন, বনধে অনড় বিনয়রা! ফের তপ্ত হবে পাহাড়?
জানা যায়, স্কুল পড়ুয়াদের জন্যে স্থানীয় একটি বিরিয়ানির দোকানে ১২৫০টি প্যাকেটের অর্ডার দেওয়া হয়। এবং অনগ্রসর কল্যাণ দফতরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট দোকানিকে বলা হয়, ২০ ফেব্রুয়ারি বিকেলের মধ্যে বিরিয়ানির ডেলিভারি দিতে। অর্থাৎ কি না অনুষ্ঠানের এক দিন আগে! স্বাভাবিকভাবেই আগের দিন বিকেলের বিরিয়ানির প্যাকেট পরদিন দুপুরে পাতে পড়লে তা কি আর খাওয়ার যোগ্য থাকে! গন্ধ তো বের হবেই! বিরিয়ানি দোকানের ব্যবসায়ী জানান, ২১ তারিখ ডেলিভারি দিতে বললে এমনটা হত না।
আর এতেই ক্ষিপ্ত স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। বিষয়টি নজরে আসে দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলমের। ভুল বোঝাবুঝির জেরে এমনটা হয়েছে বলে দায় এড়িয়েছে অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতর! যদিও পরে বিকল্প লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু এভাবে পড়ুয়াদের খাবার নিয়ে ছেলেখেলা করা হল কিনা! প্রশ্ন তুলেছে শিক্ষামহল! যেখানে মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং চিন্তিত পড়ুয়াদের খাবার নিয়ে! সেখানে কেন এই দায়সাড়া ভাব সংশ্লিষ্ট সরকারি দফতরের কর্তাদের! ব্যবস্থা নেবে কি জেলা প্রশাসন?