মালদহের গাজোলের স্কুলের ভিতরে ঢুকে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠছে। শুধু তাই নয়, গোটা বিষয়টি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ডও করেছে দুষ্কৃতীরা। অভিযোগের আঙুল উঠেছে বহিরাগত ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। তিনজনকেই চিহ্নিত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন বিবাহিত। ধৃতরা প্রত্যেকেই একইগ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: গাড়ি-বাইকের মাইলেজের তো খোঁজ রাখেন, কিন্তু ট্রেন? ১ কিলোমিটার যেতে কত লাগে ডিজেল?
advertisement
জানা গিয়েছে, নির্যাতিত ছাত্রী গাজোলের একটি জুনিয়র হাইস্কুলের পড়ুয়া। গত শনিবার দুপুরে সীমানাপ্রাচীর বিহীন ওই স্কুলে খেলাধুলো করছিল সে এবং আরও কয়েকজন ছাত্রী। সেইসময় বহিরাগতরা স্কুল চত্বরে ঢুকে পড়ে। অভিযোগ, সেই সময় দুই ছাত্রীকে ভুলিয়ে স্কুলের দোতলার একটি ঘরে নিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। এরপরেই, একটি ছাত্রীকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। সঙ্গী অপর ছাত্রী ঘটনাস্থল থেকে কোনওক্রমে পালিয়ে আসে। দৌড়ে খবর দেয় নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে। পরিবারের লোকজন স্কুলে পৌঁছনোর আগেই অবশ্য পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
স্কুল থেকে নিজেদের মেয়েকে উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনে তার পরিবারের সদস্যেরা। তারপরে, অভিযোগ দায়ের করা হয় গাজোল থানায়। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত তিনজন। পাশাপাশি, নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষাও করায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: সাতসকালে এ কী কাণ্ড! রেল স্টেশনের টিভিতে অ্যাডাল্ট ফিল্ম! টানা ৩ মিনিট চলল 'নীল ছবি'
জানা গিয়েছে, গাজোল-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অধীন ওই জুনিয়র হাইস্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা পঞ্চাশেরও কম। ঘটনার সময় স্কুলের একমাত্র শিক্ষকও স্কুলে অনুপস্থিত ছিলেন। কিন্তু, কেন তিনি সেই সময় স্কুলে ছিলেন না, তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে নির্যাতিতার বান্ধবীর বয়ানও রেকর্ড করছে পুলিশ।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, "অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে স্কুলের শিক্ষকের সঙ্গেও কথা বলা হবে। অভিযুক্তদের কাছ থেকেও বেশ কিছু তথ্য জানার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য হেফাজতে নিয়ে জেরা করা হবে। এদিকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি নির্যাতিতার পরিবার।"
সেবক দেবশর্মা