জানা গিয়েছে, এস টিএফের মালদা ইউনিটের ডিএসপি-র তত্ত্বাবধানে চলবে তদন্ত। তিনি মামলা কন্ট্রোলিং অফিসারের কাজ করবেন । তদন্তকারী অফিসারও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে রাজ্য পুলিশের নির্দেশিকায়। এস টি এফের এক ইন্সপেক্টরকে তদন্তকারি অফিসার হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর এখনও মালদহ আদালতের নির্দেশে কালিয়াচক থানার পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন ওই চীনা নাগরিক। আগামী ১৮ জুন পর্যন্ত তাঁর পুলিশ হেফাজত ছিল। কিন্ত, তদন্তভার হস্তান্তর হওয়ায় আগামীকাল বুধবার তাঁকে মালদা আদালতে হাজির করবে পুলিশ। এরপর এস টিএফ নতুন করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন জানাবে।
advertisement
এদিকে এই পর্যন্ত তদন্তে যে সব বিষয় উঠে এসেছে তা হল, ওই চিনা নাগরিকের মালদহে অনুপ্রবেশ রীতিমতো পরিকল্পনামাফিক। পিপলস লিবারেশন আর্মির সঙ্গে তাঁর যোগসাজশের সম্ভাবনা প্রবল। হান জুনওয়ে-কে বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে এপারে আনার পেছনে সীমান্তের দুপারে এজেন্ট দের সক্রিয় থাকার সম্ভাবনা।
মিলিক সুলতানপুরের যে এলাকা দিয়ে তিনি অনুপ্রবেশ করেছেন তার খুব কাছেই রয়েছে বাংলাদেশের একটি সড়ক সেতু। ওই এলাকায় এক কিলোমিটারের বেশি কাঁটাতার বিহীন। সেখানে সীমান্ত বলতে মরা ভাগীরথী নদী। গাড়ি করে বাংলাদেশের সড়ক সেতু পর্যন্ত আসার পর অল্প জল থাকা মরা ভাগীরথী নদী পেরিয়ে পাটক্ষেত ডিঙিয়ে সহজেই মিলিক সুলতানপুরের চলে আসেন তিনি। যেকোনো বিদেশীর পক্ষে ওই এলাকার ভৌগোলিক অবস্থান যে অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে সুবিধেজনক তা জানা সম্ভব নয়। তাই সীমান্তের দুপারের কারা তার অনুপ্রবেশের সহযোগিতা করেছেন সে সম্পর্কে খোঁজখবর শুরু হয়েছে।
ওই চিনা নাগরিকের বেশকিছু যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে হায়দরাবাদে। ভারতে মাওবাদী কার্যকলাপ সম্পর্কে খোঁজখবর রেখেছেন ওই চিনা যুবক। যা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।মামলা হস্তান্তরের পর তদন্তের প্রয়োজনে ওই চিনা যুবককে কলকাতা এমনকি দেশের অন্যান্য স্থানে নিয়ে যেতে পারে এসটিএফ।
সেবক দেবশর্মা