উত্তরবঙ্গের মেচি থেকে সঙ্কোষ, তরাই থেকে ডুয়ার্স এলাকায় এই ছবি প্রায় দৈনন্দিনের ঘটনা। কখনও বা ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। একেই হাতির সংখ্যা কমছে। হাতি মৃত্যু হলে প্রকৃতির ভারসাম্যের ক্ষতি হবে। ক্ষতি হবে জঙ্গলেরও। কারণ হাতির ওপর বহু বন্যজন্তুর জীবন নির্ভরশীল। হাতি মৃত্যু ঠেকাতে বড় উদ্যোগ নিচ্ছে পশুপ্রেমী সংগঠন সলিটারি নেচার অ্যান্ড অ্যানিমাল প্রোডাকশন ফাউন্ডেশন বা SNAP। তাদের পাশে রয়েছে ভয়েজ ফর এশিয়ান এলিফেন্ট সোসাইটি। মূলত হাতিদের রক্ষণাবেক্ষণ এবং সংরক্ষণই তাদের কাজ।
advertisement
আরও পড়ুন- গোমূত্র দিয়ে কুলকুচি করতে কে বললেন কাকে?
হাতির প্রয়োজনীয়তা কি? এ নিয়ে এদিন দুটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবির মধ্য দিয়ে তুলে ধরা হয়। ভয়েজ ফর এশিয়ান এলিফেন্ট সোসাইটির ফাউন্ডিং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সঙ্গীতা আইয়ার পুরো বিষয়টি উপস্থাপনা করেন। তিনি বলেন, হাতিদের করিডর নিয়ে ভাবা হচ্ছে। ট্রেনের ধাক্কায় হাতি মৃত্যু ঠেকাতে বহু বৈঠক করা হয়েছে। রেল এবং রাজ্যের সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। কিন্তু বৈঠকের আলোচনাই সার। কাজের কাজ কিছু হয়নি। কেননা এখানে সব ক্ষেত্রেই রাজনীতিকরণ। রাজ্য এবং কেন্দ্রের মন্ত্রীদেরও আরও উদ্যোগী নিতে হবে। তাহলেই এই বন্যপ্রাণকে বাঁচানো সম্ভব হবে। পাশাপাশি পশুদের জন্যে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে SNAP এর ফাউন্ডার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কৌস্তভ চৌধুরী বলেন, হাতি এবং মানুষের লড়াই নিয়ে বহু সচেতনতা শিবির করা হয়েছে। কিন্তু অসচেতনতার সেই চেনা ছবি সামনে এসছে। বন দফতরেরও অত্যাধুনিক সরঞ্জাম এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা প্রয়োজন। বার বার বলার পরও হেলদোল নেই। আগামী দিনে এ নিয়ে আন্দোলনে নামা ছাড়া বিকল্প পথ নেই।