ভুক্তভোগী শিলা মুর্মু জানান, ভুয়ো মৃত্যু শংসাপত্র ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে তাঁর পিএফ ও বিমার সমস্ত অর্থ তোলা হয়েছে অথচ তিনি আজও জীবিত। চলতি বছরের ৩ অগাস্ট পিএফ দফতর থেকে তিনি জানতে পারেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে গিয়েছে। একই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন বিফাইন খেরওয়ারও। অভিযোগকারীদের দাবি, তাঁরা চরম প্রতারণার শিকার। তাই অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক। পাশাপাশি তাঁদের টাকা ফেরতেরও আবেদন করেছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দিনেদুপুরে ব্যাঙ্কের মধ্যে ছিনতাইয়ের চেষ্টা! গ্রাহকদের তৎপরতায় হাতেনাতে ধরা পড়লেন ছিনতাইবাজ
আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের নাগরাকাটা ব্লক সম্পাদক বিকাশ বারলা ভুক্তভোগীদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, শুধু এই দুই শ্রমিক নন, ধরনীপুর চা বাগানের মোট ১৮৪ জন শ্রমিকের ক্ষেত্রেই একইভাবে মৃত দেখিয়ে এক দালালচক্র তাঁদের প্রাপ্য অর্থ আত্মসাৎ করেছে। তাঁর কথায়, ‘আজ আমরা দুই ভুক্তভোগীকে নিয়ে থানায় এফআইআর করেছি। ধাপে ধাপে বাকি শ্রমিকেরাও অভিযোগ দায়ের করবেন। প্রশাসন যেন দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করে কড়া শাস্তি দেয়’।
প্রসঙ্গত, এর আগেও নাগরাকাটা ব্লকের কেরন চা বাগানে ১১ জন জীবিত শ্রমিককে মৃত দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের ঘটনা সামনে এসেছিল। একাধিক বাগানে পরপর এই ধরণের কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসায় শ্রমিকমহলে প্রবল ক্ষোভ ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।