কোথায় সামাজিক দূরত্ব? গায়ে গা লাগিয়েই চলল কেনা বেচা। হ্যাণ্ড গ্লাভস তো প্রায় দেখাই যায়নি। বহু জনের মুখও ঢাকেনি মাস্ক বা ফেস কভারে। অথচ জেলা প্রশাসন সাফ জানিয়ে দেয়, কোভিড প্রোটোকল মেনেই আড়ত খুলতে হবে। ওখানেই ইতি! মার্কেটে এর দেখভালের জন্যে প্রশাসনিক তৎপরতা নজরে আসেনি।
শিলগুড়িতে আক্রান্তের গ্রাফে শীর্ষে থাকা ৪৬ নং ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত এই রেগুলেটেড মার্কেট। অনেক আড়তদারই কোভিডে আক্রান্ত। মৃত্যুও হয়েছে এক আড়তদারের। তবু কেন নেই অসাবধানতা? ন্যূনতম সতর্কতাই বা কেন নেবেন না? ফিশ মার্চেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মহম্মদ আলি জানান, কোভিড প্রোটোকল মানা হচ্ছে। মাস্ক পড়ে যারা আসবে না, তাদের মাছে আড়তে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
advertisement
তাঁর দাবি, পারস্পরিক দূরত্বও মেনে চলা হচ্ছে। ছবি কিন্তু উল্টো কথাই বলছে। সম্রাট সাহা নামে এক ফলের আড়তদার জানান, অনেকেই সচেতন নয়। সকলকেই সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে বলা হয়েছে। ধীরে ধীরে তা স্বাভাবিক হবে। তবে এদিন তিন আড়তেই ভিড় তুলনায় কম ছিল বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।
অন্যদিকে এদিন থেকে খুলেছে বিধান মার্কেটও। গত বুধবার থেকে মার্কেট বন্ধ ছিল। মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত। এক আক্রান্তের মৃত্যুর পরই টানা ৫ দিন ব্যবসা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিধান মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতি। সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। কোনওভাবেই যেন অমান্য না করা হয়। ক্রমাগত মার্কেট জুড়ে চলছে সচেতনতামূলক মাইকিং। এদিন অবশ্য তেমন ভিড়ও নজরে আসেনি। গোটা শহর কার্যত আক্রান্ত। এরপরেও শহরবাসী সচেতন না হলে বিপদ বাড়বে বৈকি!