ফিরল আটকে থাকা ২৩৫ জন পর্যটক। আজও তুষারপাত হচ্ছে সান্দাক ফু এলাকায়। পুলিশ, প্রশাসনের পাশাপাশি পর্যটকদের ফেরাতে এগিয়ে আসেন ল্যাণ্ডরোভার এসোসিয়েশন, হোম স্টে এসোসিয়েশনও। হাত লাগায় এসএসবি জওয়ানেরাও বলে জানান দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম। দিনভর চলে ফেরানোর পর্ব। উৎকণ্ঠায় থাকা পর্যটকেরাও বেলা শেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। অন্যদিকে উত্তর সিকিমের লাচুংয়ে প্রবল তুষারপাত চলছে। অঝোরে আপনমনে ঝরছে বরফ। রাস্তায় কয়েক মিটার পুরু বরফের চাদর। আটকে পড়ে পর্যটকবোঝাই শতাধীক গাড়ি। হাজারের বেশী পর্যটক আটকে পড়ে লাচুংয়ের বিভিন্ন জায়গায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষবরণে কড়া কলকাতা পুলিশ, মাস্ক না পড়লেই আইনি ব্যবস্থা! দেখুন
উদ্ধারকার্যে নামেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যেয় উত্তর সিকিমে আটকে টাকা পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা হল গ্যাংটকে। প্রবল তুষারপাতের জেরে লাচেনে আটকে পড়েছিল ৩০০ পর্যটকবোঝাই গাড়ি। আজ আবহাওয়া অনুকুল হওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা, হোম স্টে এসোসিয়েশন এবং সিকিমের পুলিশের উদ্যোগে উদ্ধার করা হয় পর্যটকদের। রাস্তা থেকে বরফের চাদর কেটে কেটে গাড়ি পারাপার করা হয়।
আরও পড়ুন: রাজ্যে ফের ভয়ঙ্কর করোনা-পরিস্থিতি, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২১২৮ জন!
বড়দিনের ছুটিতে পাহাড়ে বেড়াতে এসে তুষারপাতের জেরে বিপাকে পড়েন পর্যটকেরা। আটকে পড়েন কয়েক হাজার পর্যটক। ক্রমেই বাড়তে থাকে উদ্বেগ। স্থানীয়দের উদ্যোগেই পর্যটকদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। দিন কয়েক আগে পূর্ব সিকিমের ছাঙ্গু লেকেও আটকে পড়ে পর্যটকেরা। সেবাবাহিনীর জওয়ানেরা তাদের উদ্ধার করে। হিমালয়ান হসপিটালিটি ট্যুরিজম এণ্ড ডেভলোপমেন্ট নেটওয়ার্কের সাধারন সম্পাদক সম্রাট সান্যাল জানান, সান্দাক ফু এবং সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের নিরাপদেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
