বুধবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি চষে বেড়ালেন শুভেন্দু অধিকারী। কখনও হাঁটলেন দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে। ছুটে গেলেন পথচলতি সাধারন মানুষদের দিকে। আবার তাঁর কনভয় ছুটল এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে। রীতিমতো দৌড়ে বেড়ালেন। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আগাগোড়া বিঁধলেন তৃণমূলকে। লোকসভা এবং বিধানসভায় দার্জিলিং জেলার পাহাড় ও সমতলে ভালো ফল করেছে। তাকেই হাতিয়ার করে পুরসভা দখল করতে মরিয়া বিজেপি শিবির। তৃণমূল নয়, বিজেপি ক্ষমতায় এলে কেন্দ্রের সঙ্গে জোট বেঁধে শহরের সার্বিক বিকাশ হবে বলে দাবি তাঁর (SMC Election 2022)।
advertisement
অন্যদিকে শিলিগুড়ির এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে হুডখোলা জিপে ঘুরে ভোট চাইলেন ব্যারাকপুরের বিধায়ক তথা প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
শিলিগুড়ি পুরসভা জয় এবার নিশ্চিত, দাবি অরূপের। দুপুরের দিকে তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে মহামিছিল হয় শিলিগুড়িতে। মহামিছিলের ডাক দেয় মতুয়া সম্প্রদায় এবং নমশুদ্র বিকাশ পরিষদের। বাঘাযতীন পার্ক থেকে মিছিল। মাহাত্মা গান্ধি মোড় পর্যন্ত চলে মিছিল। মিছিলে ছিল মতুয়াদের নিজস্ব বাজনাও। মিছিলে পা মেলান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। মহিলা ঢাকিদের তাল! ছিলেন বৃহন্নলারাও। শিলিগুড়ির ৩৬ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জন শীলশর্মার সমর্থনে এদিন এমনই অভিনব মহামিছিল হল। হুডখোলা জিপে প্রার্থীর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষও।
অন্যদিকে পিছিয়ে ছিল না বাম ও কংগ্রেসও। পুরবোর্ড এবারেও তাদের দখলেই অটুট থাকবে বলে দাবি অশোক ভট্টাচার্যের। এদিন অন্য ওয়ার্ডের পাশাপাশি ৬ নং ওয়ার্ডে মহামিছিল করেন তিনি। ২৬ নং ওয়ার্ডের প্রার্থী মেয়ে রুচিরার সমর্থনে মিছিল করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। আসন সংখ্যা এবারে আরও বাড়বে বলে দাবি তাঁর।