এখন ওখানে কাজও নেই। নেই বাসস্থান। বেসরকারি সংস্থার কর্তারাও উধাও। অনেকেই তালিবানি আতঙ্কে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কোনওক্রমে কাবুল বিমানবন্দরের সামনে এক জায়গায় আটকে রয়েছেন এখানকার বাসিন্দারা। বাইরে গুলি, বোমার শব্দ! দিন রাত শুধুই তাড়া করে বেড়াচ্ছে তালিবানি আতঙ্ক। পরিবারের লোকেদের চোখ এখন টভির পর্দা আর মোবাইল স্ক্রিনে, যদি কোনও খবর পাওয়া যায়। গতকালও টেলিফোনে কথা হয়েছে কার্শিয়ংয়ের মন্টেভিটের বাসিন্দা শেখর গুরুংয়ের সঙ্গে। কথা বলেছেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। খাওয়া দাওয়া নেই। ঘুমও নেই। শুধুই আতঙ্কে শিউড়ে উঠছেন সেখানকার কথা জেনে। কাবুলের রাস্তায় বন্দুকবাজদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই যেন ভুলতে পারছেন না শেখর গুরুংরা। কাবুলের রাস্তাজুড়ে একে-৪৭-এর দৌরাত্ম্য।
advertisement
পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলার সময়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন আটকে পড়া কার্শিয়ংয়ের শেখর গুরুং, জিতেন মোকতান, দার্জিলিংয়ের লেবংয়ের অমিত গুরুংরা। বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন তাঁরা। শেখর গুরুংয়ের স্ত্রী মঞ্জুদেবী ও মেয়ে প্রশ্না গুরুংও সরকারের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, আটকে থাকা সকলকেই যেন সুস্থ অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। চোখে তখন জল। আফগানিস্তানে আটকে রয়েছেন দার্জিলিং জেলার প্রায় ২০০ জন বাসিন্দা। বিভিন্ন কাজে যারা কাবুলে গিয়েছিলেন।
সংখ্যাটা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন। আটকে থাকা জেলার বাসিন্দাদের নাম ও ঠিকানা বের করার খোঁজ চলছে। জানালেন জেলাশাসক এস পুন্নমবালাম। এনিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে জেলা প্রশাসন। কাবুলে যে ভারতীয়রা আটকে রয়েছেন তাঁদেরকে সুরক্ষিতভাবে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। অনেককেই ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বাকিদেরও আনা হবে। কথাবার্তা হয়েছে সকলের সঙ্গে। সুরক্ষিত জায়গায় রাখা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে যথেষ্ট দায়িত্ববান। বুধবার শিলিগুড়িতে একথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।