নকশালবাড়ির টুকুরিয়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বুনো হাতিটি ঢুকে পড়েছিল ভারত ও নেপাল সীমান্ত (Indo Nepal Border) ঘেঁষা মণিরাম গ্রামে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। আপন মনে এলাকা চষে বেড়ায় গজরাজ। যেন তার নিজের এলাকা! গ্রামবাসীরা তাড়া করলেও পালটা মারমুখী হয়নি সে! রাতভর গ্রামের চাষের জমি চষে ভোর হতেই তার দেখা মেলে। খবর পেয়ে বন দপ্তরের (Forest Department) কর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটেও যায়।
advertisement
আরও পড়ুন : স্কুলবাড়িতে পোষা পাখিরা কেমন আছে, দীর্ঘ অদর্শনে জানতে আকুল পড়ুয়ারা
বেলা বাড়তেই গত শনিবার মণিরাম গ্রাম ছেড়ে জঙ্গলের পথ ধরে। তার পর লাগোয়া জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় দাঁতাল। তখনই বুঝতে পারে ভুল পথে চলে এসছে। সেই জঙ্গলেই ৩ দিন কাটিয়ে মঙ্গলবার সকালে নিজের ঘরের পথ খুঁজে নেয়। জঙ্গল ছেড়ে ফের চলে আসে লোকালয়ে। একে একে রেললাইন, হাইওয়ে পার করে আপন গতিতে। রাস্তায় সাধারণ মানুষেরা ভিড় জমালেও এক বারের জন্যেও কাউকেই বিরক্ত করেনি বুনো হাতিটি।
আরও পড়ুন : মা দুর্গা পাড়ি দিচ্ছেন অসম, মেঘালয়, নেপালে! খুশীর হাওয়া শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে...
মঙ্গলবার আবার ভারত-নেপাল সীমান্তে পানিট্যাঙ্কি লাগোয়া টুকুরিয়া জঙ্গলে ফিরে যায় গজরাজ। এই জঙ্গল থেকেই বেরিয়ে পড়েছিল। তবে ফেরার পথেও কাউকে জখম বা তাড়া করেনি। সাধারণত যা দেখা যায় না। হাতির হানায় অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। চাষের জমি তো বটেই, এর আগে বহু বাড়িঘর ভাঙার মতো ঘটনাও ঘটেছে হাতির হানায়। সেখানে বুনো দাঁতাল যেন অনেকটাই শান্ত, ধীর! ওর চলার পথ দেখে যা সহজেই অনুমেয়। ঘরে ফেরার রাস্তা নিজেই খুঁজে বের করে। তারপর শুঁড় হেলিয়ে গজরাজ নিজের আস্তানায়! টুকুরিয়া জঙ্গলে না ফেরায় বনকর্মীরা কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়েছিলেন, এখন তাঁরা অনেকটাই মুক্ত!