বছর তিনেক ধরে আদিবাসী পরিবারগুলির সঙ্গে তাঁর আলাপ। ওদের যখন যা প্রয়োজন, আবদার মেটান এই সঙ্গীত শিল্পী। পড়াশোনার বই, খাতা অথবা নতুন জানা কাপড়। সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন তিনি। চা বলয়ে নিয়মিত সঙ্গীত চর্চাও করাচ্ছেন। ভাল গান গাইলে শহরে বড় অনুষ্ঠানে গান গাইবার সুযোগ করে দিয়েছেন। এমনই পাঁচ পরিবারের জন্যে বীমার ব্যবস্থা করে দিলেন এই গায়িকা। নিজের সঙ্গীত চর্চার মধ্য দিয়ে যা আয় হয়, তার একটা বড় অংশ তিনি দেন এই আদিবাসী পরিবারগুলির হাতে।
advertisement
শুরুটা লকডাউনের সময় থেকে। কোভিডের জেরে বন্ধ চা বাগান। বন্ধ উপার্জন। তখন ডুয়ার্সের এই প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে দেখতে পান তাঁদের আর্থ সামাজিক অবস্থা। সেই সময়ই সিদ্ধান্ত নেন ওঁদের জন্যে কিছু করবেন। লকডাউনের সময়ে প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী তুলে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: বড়শিতে টান! ২০ কেজির দৈত্য! চার ঘণ্টা ধরে চলল মানুষ-দানবে যুদ্ধ!
বুধুরাম এবং বড়দিঘি, এই দুই বস্তির কাছে তিনি এখন 'অভিভাবক'। এলাকায় পৌঁছলেই আদিবাসী কচিকাঁচারা ঘিরে ধরেন তাঁকে। ওদের হাতে তুলে দেন পুষ্টিকর খাবারের প্যাকেট থেকে অন্যান্য সামগ্রী।
আজ, শনিবার পাঁচ আদিবাসী পরিবারের জীবন সুরক্ষায় তিনিই তুলে দিলেন জীবন বীমার পলিসির কাগজ। ওদের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। যা পেয়ে হাসির ঝিলিক ওদের মুখে। খুশি আদিবাসী পরিবারের লোকেরা।
আরও পড়ুন: ক্রীড়া দিবসে এক মঞ্চে কৃতি পড়ুয়া এবং খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দিল শিলিগুড়ি ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব
সঙ্গীত শিল্পী অনিন্দিতা বলেন, ''ওদের নুন আনতে পান্তা ফুরোনর মতো অবস্থা। ওদের বস্তির ছবি দেখেই এই ভাবনায় এগিয়ে চলা। ওদের পাশে থাকতে চাই আজীবন।'' এদিন গোটা এলাকাকে সাজিয়ে তোলার জন্যে ওদের হাতে জাতীয় পতাকাও তুলে দেওয়া হয়। এমন মানবিকতাকে তারিফ করেছে শহরবাসী।