২ মাস আগে জিএনএলএফ ছাড়েন অজয়। মূলত জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিংয়ের সঙ্গে বিরোধের জেরেই দলত্যাগ করেন তিনি। পরবর্তীতে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তে জিএনএলএফ দল ছাড়েন অজয় অনুগামীরাও। রীতিমতো দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে যায় (Hill Politics) ঘিসিংয়ের দলে। দল ছাড়েন মহেন্দ্র প্রধানের মতো শীর্ষ নেতাও। যা বড় ধাক্কা জিএনএলএফ শিবিরের কাছে। দল গোছালেও ভাঙনের ক্ষত আজও শুকোয়নি। এরই মাঝে দলত্যাগী নেতা অজয় এডওয়ার্ডসের (Ajay Edwards) নতুন দলের ঘোষণা যে আরও চাপে ফেলবে ঘিসিংদের, তা সহজেই অনুমেয়।
advertisement
গত বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট পাওয়া নিয়ে মত পার্থক্যের শুরু (Hill Politics)। দার্জিলিং আসনে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন অজয় এডওয়ার্ডস। কিন্তু টিকিট পান নীরজ জিম্বা এবং তিনিই এখন বিধায়ক। নির্বাচনের পর স্বপরিবারে বাইরে চলে যান অজয় এডওয়ার্ডস (Ajay Edwards)। সেখান থেকেই তাঁর দল ছাড়ার ইঙ্গিতটা আসছিল। ক্রমেই তা প্রকাশ্যে আসে। দার্জিলিংয়ে ফেরার পথে রোহিণী মোড়েই আনুষ্ঠানিকভাবে জিএনএলএফের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগের কথা ঘোষণা করেন। তারপর টানা কয়েক মাস পাহাড়জুড়ে নিজের অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেইসঙ্গে নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নামে সমাজসেবার কাজটা চালিয়ে যান ভালভাবেই।
বিশেষ করে ধস বিদ্ধস্ত এলাকা নিজেই ঘুরে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন এডওয়ার্ডস। পাশে থাকার বার্তা দেন পাহাড়ের মানুষকে। এবারে অন্য লড়াই। রাজনৈতিক লড়াই। লড়াইয়ের ময়দানে নামছেন অজয় এডওয়ার্ডস! আজই তাঁর নয়া ইনিংসের সূচনা। আসন্ন জিটিএ নির্বাচনে ফ্যাক্টর হবে অজয়ের দলও, বলছেন রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, অনীতের দলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হতে পারে অজয়ের নতুন দলের। যদিও এনিয়ে মুখে কুলুপ দুই শিবিরেরই। তবে ঘিসিংয়ের দলকে যে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবেন, তা বলাই যায়! সেই প্রত্যাঘাত কী ভাবে সামলাবেন মন ঘিসিং, নীরজ জিম্বারা, সেটাই দেখার!