আর এ নিয়েই বিক্ষোভে ফেটে পড়ে পুণ্যার্থীরা। পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভ উগড়ে দেন তাঁরা। পালটা প্রশ্ন, পুলিশ কেন আগে অনুমতি দিয়েছিল। কেনই বা ভাঙা হল? মাল নদীর বিসর্জনের ঘটনা এখনও টাটকা! বিসর্জনেই নেমে এসেছিল বিপর্যয়! ৮ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়েছিল ভয়াল হড়পা বাণ। তারপরও শিক্ষা হয়নি। শিলিগুড়ির মহানন্দার লালমোহন মৌলিক ঘাটে চলছে ছট পুজার প্রস্তুতি। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকা রয়েছে। তবুও নদীর বুকে বালির বস্তা ফেলে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী বেদী। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজোর মাস শেষে হাতে টাকা আসবে? না আরও জলের মতো খরচ হবে? রাশি মিলিয়ে জানুন
পুলিশ ঘন ঘন মাইকিং করে সতর্ক করছে। মহানন্দা বাঁচাও কমিটিও নদীর বুকে বেদী তৈরীর বিরোধিতা করে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। সংগঠনের নেত্রী জ্যোৎস্না আগরওয়াল জানান, একেই মহানন্দা নদীর নাব্যতা কম। পাহাড়ী নদী। হড়পার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। কেন না, দিন দুয়েক আগেই পাহাড়ে বৃষ্টি হয়েছে। ফের আবহাওয়া প্রতিকূল হলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশিকাও রয়েছে। তবুও আইন ভেঙে তা করা হল কেন?
আরও পড়ুন: ঘুম থেকে ওঠার পরই ক্লান্তি ঘিরে ধরে? সাবধান না হলে বড় বিপদ হতে পারে!
অথচ নদীর চরে বহু জায়গা রয়েছে।দুর্ঘটনা এড়াতে নদীর বুক থেকে বেদী সরানোর আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। উদ্যোক্তারাও একই দাবি করেছেন। পুরসভার মেয়র গৌতম দেব জানান, পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার তারাই নেবে। সেই মতো সন্ধ্যায় ভেঙে দেওয়া হয় অস্থায়ী বেদী। আর তাকে ঘিরেই চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয় ঘাটে।