খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত হন ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন। শাসক দলের কর্মীরা তার ওপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। ঘটনাটি ঘটেছে একদিন আগে রাতে অগ্রসেন রোডে। আহত বিরোধী দলনেতা শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত কাউন্সিলর জানান, রাতে বালি-পাথর নিয়ে গোলমাল হচ্ছিল ওয়ার্ডে। তা মেটাতে গেলে আচমকা তাঁর ওপর চড়াও হন প্রাক্তন কাউন্সিলর ও তাঁর সঙ্গীরা।
advertisement
আরও পড়ুন - ‘Get Well Soon’ পন্থকে রিয়েল ফাইটার বলে লড়াইতে উদ্ধুদ্ধ করার চেষ্টা বোর্ডের, রইল ভিডিও
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার কিরেছেন প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদীপ গোয়েল। তাঁর পালটা দাবি, ওইসময় তিনি ছিলেন না। পরে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেন। আর এই ধরনের সিণ্ডিকেটের সঙ্গে তিনি কোনও দিনই জড়িত নন। শাসকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি বিজেপির জেলা সভাপতি আনন্দ বর্মনের।
হাসপাতালে গিয়ে আক্রান্ত বিরোধী দলনেতাকে দেখতে গিয়ে একই সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকারেরও। তাঁর দাবি, শহরে বিরোধী দলনেতারই নিরাপত্তা নেই। শহরের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হারাতে বসছে।
আরও পড়ুন - Rishabh Pant Health Update: দেবদূতের মতো সেদিন বাঁচিয়েছিলেন, দেখতে গেলেন পন্থকে, সামনে এল লেটেস্ট ফটো
পুরসভার বিরোধী দলনেতা নিগ্রহে নীরব পুলিশ। শহরের আইন শৃঙখলা ভেঙে পড়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শিলিগুড়ির রাস্তায় নামে বিজেপি। আজ বিকেলে ধিক্কার মিছিল করে তাঁরা। মিছিল শেষে হাসমিচকে পথ অবরোধে বসে বিজেপি নেতা, কর্মীরা, অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ব্যপক ধাক্কাধাক্কি। প্রথমে বচসা এবং পরে পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মধ্যে চলে ধস্তাধস্তি। পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বিজেপি বিধায়ক আনন্দ বর্মন, দূর্গা মূর্মূ সহ অন্য নেতা, কর্মীদের গ্রেফতার করে। এতে উত্তেজনা আরো ছড়ায়।হাসমিচক থেকে পুলিশের গাড়িতে তুলেও থানায় না ঢুকিয়ে রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয় দুই বিধায়ককে বলে অভিযোগ। প্রতিবাদে ফের অবরোধে বসে তারা। পরে অবরোধ তুলে আবার গাড়িতে করে দুই বিধায়ককে আনা হল থানায়। "দু'দু'বার গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হল পুলিশি ব্যবস্থা রাজ্যে।" শিলিগুড়ি থানায় ক্ষোভ বিজেপি বিধায়ক তথা জেলা সভাপতি আনন্দ বর্মনের। পরে অবশ্য ব্যক্তিগত বণ্ডে ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের।
Partha Pratim Sarkar
