আগামীকালই জরুরি বৈঠকে বসছে শিলিগুড়ি পুরসভা। বৈঠকে থাকবেন মেয়র, ডেপুটি মেয়র, মেয়র পরিষদর, কাউন্সিলর এবং পুরসভার কমিশনার। ওই বৈঠকে ঠিক হবে কীভাবে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পুনর্গঠন করা হবে তা নিয়ে।
কলকাতা থেকে ফিরেই সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে একথা বলেন মেয়র গৌতম দেব। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার, স্থানীয় কাউন্সিলর সঞ্জয় শর্মা, কমিশনার সোনম ওয়াংদি ভুটিয়া। ক্ষতিগ্রস্তদের খাবারের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা। অগ্নিকাণ্ডে বহু ছাত্র ছাত্রীর খাতা, বই পুড়ে গিয়েছে। ওই পড়ুয়াদের পাশেও পুরসভা থাকবে বলে জানান মেয়র।
advertisement
গৌতম দেব বলেন, প্রাথমিক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে অগ্নিকাণ্ডে ৪০টি বাড়ি এবং ৮টি ভাড়াটের ঘর সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। সেখানে দ্রুত পুরসভা বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। জেলাশাসক এস পুন্নমবলমও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
মেয়র জানান, জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর কীভাবে সহযোগিতা করবে, তা নিয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে। অসহায় পরিবারদের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তিনিও সহমর্মিতা জানিয়েছেন। আগামীকালই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট পাঠাবেন মেয়র।
আরও পড়ুন, ডেঙ্গি পরীক্ষার রিপোর্ট যেন ৪-৫ ঘণ্টার মধ্যে দেওয়া হয়, কড়া বার্তা মমতার
গোটা শহরকে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন মেয়র। রবিবারও একই আর্জি রেখেছিলেন বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। প্রসঙ্গত, গত শনিবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের রানা বস্তির ক্ষুদিরাম কলোনিতে।
আরও পড়ুন,সারদা কাণ্ড নিয়ে বড় দাবি শুভেন্দু অধিকারীর! তুললেন শুক্রবার গভীর রাতের কথা
মূহূর্তের মধ্যে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে একের পর এক বাড়ি। ১০টিরও বেশি রান্নার গ্যাসের সিলিণ্ডারের বিস্ফোরণে আগুনের ভয়াবহতা বাড়িয়ে দেয়। প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা।