গত বছর বামেরা ৯-এর মধ্যে ৬টি আসন জিতেছিল মহকুমা পরিষদে। এবারে ৮টি আসনে লড়বে বাম প্রার্থীরা। ফাঁসিদেওয়ার আসনটি কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই আসনে বামেরা "হাত" কেই সমর্থন করবে। আর এতেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি শঙ্কর মালাকার। তিনি বলেন, আমরা মহকুমা পরিষদের ৯টির মধ্যে ৩টি আসন চেয়েছিলাম। কাল, মঙ্গলবার, আমরা প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করব। বামেদেরও আমরা ১-২টি আসন ছাড়ব। এবারে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ সিপিএম বা কংগ্রেসের একার পক্ষে জেতা সম্ভব নয়। তাই আসন রফা প্রয়োজন। এখোনও সময় আছে। না হলে তৃণমূল বা বিজেপিকে হারানো সম্ভব নয়। বাম এবং কংগ্রেসের ঐক্যবদ্ধ শক্তিই পারবে জয় ছিনিয়ে আনতে। তাঁর মত৷
advertisement
কিন্তু বামেরা ১টিনাসন ছাড়ায় যথেষ্টই ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।শিলিগুড়ি পুরসভা নির্বাচনেও দফায় দফায় আলোচনা করেও শেষ পর্যন্ত আসন রফা হয়নি বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে। অশোক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে যেমন প্রার্থী দিয়েছিল কংগ্রেস। তেমনি জেলা কংগ্রেস সভাপতির মেয়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিয়েছিল সিপিএম। যার পুরো ফায়দা তুলে নেয় ঘাসফুল শিবির। বামেরা ৩টি এবং কংগ্রেস ১টি আসন জিতেছিল। ৫টি আসন জিতে বিরোধী আসনে বসেছে গেরুয়া শিবির। মহকুমা পরিষদের নির্বাচনেও সেই "শিলিগুড়ি মডেল" শুরুতেই হোঁচট খেল। এককভাবে আগেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে ফেলল বামেরা৷ যা আসন রফার ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। মঙ্গলবার কংগ্রেস কী করে, তার দিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।