জানা গিয়েছে, শিলিগুড়িতে পর্যটন দফতরের মৈনাক ট্যুরিস্ট লজেই থাকতেন। সেখানেই সন্ধ্যের দিকে কথা হত শিল্পীর সঙ্গে। তার আগে দিনভর কাদের সঙ্গে বৈঠক করতেন বা সময় কাটাতেন? তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। একবার কালিম্পংয়েও যান ওই শিল্পীক্যা নিয়ে। ফেরার পথে চা বাগান ঘোরেন। উত্তরের চা শিল্পের জন্যে কিছু করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেইমতো শিল্পীর কাছ থেকে প্রস্তাবও নেন। সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে উত্তরর চা শিল্পের সমস্যা কাটিয়ে তুলবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন বলে অভিযোগ। সঙ্গীত শিল্পী শৌভিক মজুমদারের বলে অভিযোগ, বাবার অসুস্থতার অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে ২-৩ লক্ষ টাকা নিয়েছিল দেবাঞ্জন। পরবর্তীতে নবান্নে গিয়ে দেবাঞ্জনের খোঁজ করেও পাননি শিলিগুড়ির শিল্পী। এরপরই দেবাঞ্জন তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
advertisement
সম্প্রতি দেবাঞ্জনের জালিয়াতি সামনে আসতেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছেন শিল্পী শৌভিক মজুমদার। নাম উঠে এসেছে শিলিগুড়ির এক আইনজীবি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের লিগ্যাল সেলের নেতা অত্রি দেব শর্মার নামও। অভিযোগ, শিলিগুড়িতে মৈনাক ট্যুরিস্ট লজ-সহ পাহাড়ে একাধিক বৈঠক করেছিল দেবাঞ্জন। বিভিন্ন ঠিকাদারদের জিটিএ'র কাজ পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। কাজের বরাত পাইয়ে দেওয়ার নামে কয়েক লাখ টাকা প্রতারণাও করেছে দেবাঞ্জন। এ প্রসঙ্গে গৌতম দেব বলেন, "এই ধরনের ব্যক্তিত্বর সাথে আমার জ্ঞানত বা অজ্ঞানত আমার কোনওদিন যোগাযোগ হয়নি। উত্তরবঙ্গে আমাদের দলের কারো সাথে কোনও যোগাযোগ আছে এমন তথ্য, খবর আমার কাছে নেই।"
Partha Sarkar