স্থানীয় সরকারি আবাসন তো নয়, যেন ডেঙ্গির আঁতুড়ঘর। জমা জল আর নোংরা আবর্জনার পাহাড় আবাসনজুড়ে। নিয়মিত সাফ করা হয় না বলে অভিযোগ এক আবাসিকের। প্রায় তিনশোর কাছাকাছি আবাসিক এখানে থাকেন। কিন্তু নোংরা, আবর্জনা সাফাইয়ের বালাই নেই বলে অভিযোগ রিয়া দে সরকার নামে এক আবাসিকের। তিনি জানান, প্রতি ঘরেই শিশু রয়েছে। মশার দাপট। দুশ্চিন্তায় ঘুম ছুটেছে আবাসিকদের। এদিকে হাউসিং বিভাগ না পুরসভা-কে সাফাই করবে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে।
advertisement
আরও পড়ুন : নদীর প্রতি অভিমানে বিত্তিবাড়িতে এসে পৌঁছয় না দুর্গাপুজোর আগমনী বার্তা
হাউসিং দফতরের এক্সইকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র দিলীপ সরকার জানান, তাঁরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রেখে দেখভাল করেন এই আবাসনের। স্থানীয় কাউন্সিলরকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। বড় এলাকা। তাই সমস্যা বাড়ছে। মূলত আবাসন থেকে জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই। একই অভিযোগ পুরসভার ১৪ নং ওয়ার্ডেও। মঙ্গলবার এই ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান মেয়র। নিয়মিত নর্দমা থেকে জমা জল পরিষ্কার করা হয় না বলে অভিযোগ করেছেন এক আক্রান্তের পরিবার।
আরও পড়ুন : পূর্বাঞ্চলীয় অ্যাথলিট মিটে সাফল্য মালদহের হাত ধরে বাংলার ঘরে এল সোনা
অনিতা বণিক নামে ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা বলেন, চার পাশে আবর্জনার স্তূপ। পুরসভা থেকে নিয়মিত সাফাইকর্মী আসেন না এলাকায়। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র গৌতম দেব। সরকারি আবাসনেও দ্রুত সাফাই করা হবে বলে জানান তিনি। মৃতের পরিবারের সঙ্গেও আজ দেখা করবেন তিনি। মেয়র জানান, ৪৭ জন কাউন্সিলরকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে এর মোকাবিলায়। আগামিকালই স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মেয়র। সেখানে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকেও ডাকা হবে। তিনি এও জানান, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্যে প্রয়োজনে কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হবে।