নির্বাচনী দফতরের আধিকারিকদের কাছে বিক্ষোভও দেখায় বিজেপি নেতা, কর্মীরা। যদিও নির্বাচন কমিশনের কর্তাদের দাবি, বিধি ভাঙায় তা খুলে দেওয়া হয়েছে। বিজেপি প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূল প্রার্থীর নির্দেশেই এই ধরনের কাজ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাজেটের আগেই ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধীরা, কারণ লুকিয়ে অধিবেশনের প্রথম দু-দিনে!
অন্যদিকে ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জন সরকার এই অভিযোগ হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, তাদের একটি কার্যালয় নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সেটা খুলে দেওয়া হয়। পাকুড়তলা মোড়ের কার্যালয়টি সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসতেই বিরোধীদের বিরুদ্ধে সক্রিয় নির্বাচন কমিশন বলে অভিযোগ সিপিএম, বিজেপির। তৃণমূলকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধীদের। যদিও তা মানতে নারাজ তৃণমূল প্রার্থীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: এবারের বাজেটে কী পেতে চলেছে কলকাতা মেট্রো? শুরু জোর চর্চা
এদিকে আজ শিলিগুড়ির প্রায় সব ওয়ার্ডেই ছিল জমজমাট রবিবাসরীয় প্রচার। দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে নামেন গৌতম দেব, জেলা তৃণমূল সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষ, দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, শঙ্কর ঘোষ, সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য, কংগ্রেস নেতা শঙ্কর মালাকারেরা। কোথাও ঢাক বাজিয়ে চলে প্রচার। তবে কোভিড বিধি মিছিল করার ছবি ধরা পড়েনি। এ নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। অন্যদিকে এদিন প্রচারে নেমে সব দলেরই শীর্ষ নেতৃত্ব দাবী করেছেন, পুরবোর্ড গড়ছে তারাই। প্রচারে নেমে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলেছেন সাংসদ রাজু বিস্তা। পালটা গৌতম দেবের দাবি, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে শিলিগুড়ির সার্বিক উন্নয়ন হবে। আর সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের দাবি, এবারেও শিলিগুড়ির মানুষের সমর্থনে বামেরাই বোর্ড গঠন করবে। সবমিলিয়ে রবিবারের শিলিগুড়ি দেখলো জমকালো প্রচার।