গত পরশু খড়িবাড়ির এক শিশু এবং গতকাল শিলিগুড়ির প্রধাননগরের এক শিশুর মৃত্যু হয়। প্রত্যেকেরই একই উপস্বর্গ ছিল বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দুশ্চিন্তা বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। জলপাইগুড়িতে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও মেডিক্যালে সংখ্যাটা শূন্য ছিল। পরপর মৃত্যুতে স্বাভাবিক ভাবেই বাড়ছে উদ্বেগ। হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিক জানান, "আরও আগে ভর্তি করানো গেলে বাঁচানোর সম্ভাবনা থাকতো। এই মূহূর্তে শিশুদের শরীরে আরএস ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। সঙ্গে অপুষ্টিজনিত কারণও যোগ হওয়ায় কো-মর্বিডিটির সংখ্যা বাড়ছে। তার জেরেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।" যদিও পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয় বলে দাবি করেছেন স্বাস্থ্য কর্তা। সুস্থতার হারও বাড়ছে।
advertisement
প্রতি বছরই এই সময়ে শিশুদের ভাইরাল ফিভারের প্রবণতা দেখা যায়। এবারে তুলনায় প্রকপটা বেশি। জ্বরের পাশাপাশি ডেঙ্গি, জাপানি এনসেফেলাইটিস, নিউমোনিয়া, ইনফ্লুয়েঞ্জা বি, আর এস ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের বাঁচানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই জ্বর বা সর্দি, কাশির লক্ষ্ণ দেখা গেলেই দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ প্রয়োজন। দরকারে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। এছাড়াও মানতে হবে স্বাস্থ্য বিধিও। বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন- শিশুদের ভাইরাল জ্বরে কাবু উত্তরবঙ্গ, পরিদর্শনে স্বাস্থ্য দফতরের ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল
সম্প্রতি কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ দলও পরিদর্শন করে গিয়েছেন উত্তরের সার্বিক পরিস্থিতি। মেডিক্যালে বাড়ানো হয়েছে বেডের সংখ্যাও। তবুও আতঙ্ক কাটছে না শিশুদের অভিভাবকদের। গত ২৪ ঘণ্টায় মেডিক্যালে নতুন করে ভর্তি হয়েছে ২২ জন শিশু। বিভিন্ন জেলা ও ব্লক হাসপাতাল থেকে বাড়ছে রেফারের সংখ্যাও। এই মূহূর্তে মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন ৭৪ জন শিশু।
Partha Sarkar
আরও পড়ুন- উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ৩ মাসের শিশুর মৃত্যু, পাহাড়েও বাড়ছে ভাইরাল জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা