এদের একজন শিলিগুড়ি পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কুলিপাড়ার বাসিন্দা। গত ২২ মে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সন্দেহে ওই মহিলাকে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর মেডিক্যাল কলেজে তাঁকে রেফার করা হয়। ২৩ মে রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর ২৪ তারিখ অস্ত্রোপচার হয় মহিলার। বেশ কয়েক ঘন্টা চলে অস্ত্রপচার। মহিলার ডান চোখ সহ মুখের ডান দিকের বড় অংশ বাদ যায়। তারপরে সিসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি। তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছিলেন বলে পরিবারের দাবি। কিন্তু গতকাল বিকেলের পর থেকে শারিরীক অবস্থার অবনতি হয়। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
advertisement
মাস খানেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ওই মহিলা। বাড়িতেই সুস্থ হওয়ার পর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে তাঁর শরীরে। মৃতার ছেলে রাজু পাসোয়ান জানান, "সফল অস্ত্রপচারও হয়। চিকিৎসায় সাড়াও দিয়েছিলেন মা। কথাও বলছিলেন। তারপর কী ভাবে এমনটা হল, বুঝতে পারছি না।"
অন্য আরেক মৃতের বাড়ি গজলডোবায়। কোভিড আক্রান্ত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন ছিলেন শিলিগুড়ি লাগোয়া গজলডোবার বাসিন্দা আর এক মহিলা। গত ২০ মে থেকে চিকিৎসাধীন ছিলেন মেডিক্যালের কোভিড ব্লকে। চার দিন আগে তাঁর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভও আসে। কিন্তু শ্বাসকষ্ট থাকায় কোভিড ওয়ার্ডেই ছিলেন। অক্সিজেন নিচ্ছিলেন। গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। এই মহিলার শরীরেও ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ মিলেছে। কিন্তু ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের চিকিৎসা শুরু হয়েছিল কিনা তা নিয়ে কেউই কিছু বলেননি। মৃতার স্বামী জানান, গতকাল রাতেই মেডিক্যাল থেকে ফোন করে নতুন সংক্রমণের বিষয়টি জানানো হয়। তাদের বাড়িতে আরও ২ জন কোভিড আক্রান্ত রয়েছে।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে একই দিনে ২ জনের মৃত্যুতে শিলিগুড়ি সহ উত্তরবঙ্গে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। যদিও চিকিৎসিকেরা এতে আতঙ্কিত না হওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মেডিকেলে ব্ল্যাক ফাংগাশে আক্রান্ত এক জনের চিকিৎসা চলছে। অন্য জন শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।