মণ্ডপে ঢুকলেই চোখে পড়বে সবুজ ধানের ক্ষেত, কৃষকের হাতে হাসুয়া আর মাটির তৈরি নানান সামগ্রী। যেন শহরের বুকেই গ্রামবাংলার সরল আবহ। উদ্যোক্তাদের দাবি, সমাজে কৃষকের অবদানকে সামনে আনতেই এই থিমের পরিকল্পনা। এবারে তাদের দুর্গাপুজোর ৬৩’তম বর্ষে পদার্পণ করল। বাজেট প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। প্রতিমা আসছে শিলিগুড়ির কুমারটুলি থেকে। আর আলোকসজ্জার দায়িত্ব নিয়েছে চন্দননগরের শিল্পীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইসকন থেকে রামেশ্বরম! দুর্গাপুজোয় মন্দিরের বাহার! থিমে চমক দিচ্ছে ‘এই’ ৩ পুজো কমিটি, না দেখলে মিস
আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর, চতুর্থীর দিনে মণ্ডপের শুভ উদ্বোধন হবে। শুধু সাজসজ্জাই নয়, থাকছে নানা সামাজিক উদ্যোগ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তবে প্রতিবছরের মতো এবারও দর্শনার্থীর ভিড় সামলানো তাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এবার সেই জন্য উদ্যোক্তাদের ভরসা নতুন এক উদ্যোগ – ‘পুজো বন্ধু’। পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পার্থ দে জানান, শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের তত্ত্বাবধানে প্রত্যেক পুজো কমিটি থেকে ১০ জন করে সদস্যকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ থেকে শুরু করে আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলানো – সব ক্ষেত্রেই এই প্রশিক্ষিত সদস্যরা দর্শনার্থীদের পাশে থাকবেন। সেন্ট্রাল কলোনি ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে তাদের ১০ জন সদস্যের নাম জমা দিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ৩৫০ বছরে দেবী রূপের বদল নেই! ভেঙেছে নাট মন্দিরের একাংশ, তবু রীতিনীতি মেনেই পটেশ্বরীর পুজো
পুজো বন্ধুদের আলাদা পরিচয়পত্র ও পোশাক থাকবে। দর্শনার্থীরা মণ্ডপে কোনো সমস্যায় পড়লে সরাসরি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। প্রয়োজনে তাঁরা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গেও দর্শনার্থীদের সংযোগ করাবেন। উদ্যোক্তাদের আশা, এই নতুন উদ্যোগে ভিড় সামলানো যেমন সহজ হবে, তেমনই নিরাপত্তা নিয়েও শহরবাসীর উদ্বেগ দূর হবে।
গ্রামবাংলার আবহ টেনে আনা ‘মাটির টান’ থিম আর ‘পুজো বন্ধু’ উদ্যোগ মিলিয়ে এবছরের সেন্ট্রাল কলোনির পুজো ইতিমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। উদ্যোক্তাদের বিশ্বাস, এবারও দর্শনার্থীদের ভিড় প্রমাণ করবে শিলিগুড়ির অন্যতম আকর্ষণ এই বিগ বাজেটের পুজো।