ভাইরোলজিস্ট ডাঃ রাজা রায়ের নেতৃত্বে টিমে রয়েছেন ডাঃ পল্লব ভট্টাচার্য, ডাঃ বিকাশ চন্দ্র মণ্ডল, ডাঃ দীপ্তকান্তি মুখোপাধ্যায় এবং ডাঃ মিহির সরকার। বৈঠকে ছিলেন করোনাকালে উত্তরবঙ্গের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্তা সুশান্ত রায়, দার্জিলিংয়ের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য্য-সহ মেডিক্যালের কর্তারা।
advertisement
আতঙ্কের বা ভয়ের কোনও কারণ নেই। প্রতি বছরই শিশুদের শরীরে এই ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনা ঘটে। প্রয়োজন আইসোলেশনে রাখা। মাস্ক পড়াটাও জরুরি শিশুদের। বাড়ির অন্য কেউ বা বন্ধুরা জ্বরে আক্রান্ত হলে তাদের থেকে দূরত্বে রাখতে হবে শিশুদের। শিশুদের আদর করে চুম্বন না করাই ভালো। জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন... বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: মালদহে ২৪ ঘণ্টায় ৩ শিশুর মৃত্যু! হাসপাতালে জ্বর নিয়ে চিকিৎসাধীন শতাধিক
বিশেষজ্ঞদের দাবি, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিকাঠামো যথেষ্ট রয়েছে। এই মূহূর্তে ১২০ বেড থাকলেও আরও ৫০টি বেড বাড়ানো হবে। উত্তরবঙ্গের প্রতিটি ব্লক এবং জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। নজরদারি চালাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য কর্মী ও কর্তাদের। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে, বলেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। এ দিন মেডিক্যালে বৈঠকের পর শিশুদের ওয়ার্ডও পরিদর্শন করেন ৫ সদস্যের কমিটির সদস্যরা।
আরও পড়ুন: জ্বরের মধ্যেই শিশুর শরীরে হানা ঘাতক স্ক্রাব টাইফাসের! খোঁজ মিলতেই যে পদক্ষেপ নিল রাজ্য
প্রসঙ্গত ক্রমেই বাড়ছে শিশুদের ভাইরাল ফিভার। জ্বর, শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশির উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে শিশুরা। সংখ্যাটা প্রতিদিনই বাড়ছে। তার মধ্যে বেশ কয়েকটি ভাইরাসের হদিস মেলায় উদ্বেগ আরও বাড়ছে। স্বাস্থ্য কর্তারা দুশ্চিন্তায় না থাকার পরামর্শ দিলেও অভিভাবকেরা যথেষ্টই আতঙ্কিত। তবুও স্বাস্থ্য আধিকারীকদের দাবি, সতর্কতা মেনে চলতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাই এই জ্বরের সঙ্গে তৃতীয় ঢেউয়ের কোনও সম্পর্ক নেই।
Partha Sarkar