ভারতীয় রেলের তরফ থেকে সেবক থেকে রংপো রেল লাইনের কাজ দ্রুতগতিতে চালানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ৭৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেললাইন বসানোর কাজের জন্য রেলের তরফ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে ৪০৮৫ কোটি টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেই চলতি বছরেই এই লাইন বসানোর কাজ শেষ হবে এবং পরিষেবা প্রদান শুরু হয়ে যাবে বলে রেল সূত্রে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: চল্লিশ মিনিটের প্রাণঘাতী আগুন, পুড়ে ছাই বাবা-ছেলে! সাতসকালে হাড়হিম ঘটনা কলকাতায়
রেল সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেললাইনে মোট পাঁচটি স্টেশন থাকবে। সেই স্টেশনগুলি হল সেবক, রিয়াংস মল্লি, রংপো এবং তিস্তাবাজার। যাত্রাপথে থাকছে মোট ১৪টি সুড়ঙ্গ। এর পাশাপাশি এই রেল লাইন তৈরি করার ক্ষেত্রে মাঝে নানান বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয় রেলকে। তবে সেই সকল বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে এখন রেললাইন তৈরির কাজ চলছে দ্রুতগতিতে। চলতি বছরেই এই লাইন চালু হয়ে যাবে বলে রেল সূত্রে খবর।
আরও পড়ুন: 'দ্য ডিপেস্ট সাবওয়ে মেট্রো' স্টেশনে ফিনিশিং টাচ, কবে থেকে চালু হাওড়া-শিয়ালদহ মেট্রো? বড় খবর
এই রুট ধরে সেবক থেকে সিকিম পর্যন্ত এবার যাওয়া যাবে। রেল সূত্রে খবর, গোটা রেলপথের বেশিরভাগ অংশেই পাহাড় রয়েছে। সেই পাহাড় কেটে সুরঙ্গ তৈরি করে তার ভেতর দিয়ে রেললাইন পাতা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকা হয়ে এই রেলপথ চলে যাবে সিকিম। ৪৪.৯৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেবকে-রাংপো রেলপথের কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৯ সালে। তখন রেলমন্ত্রী ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দীর্ঘ একযুগ পার হয়ে গিয়েছে। তবে শীঘ্রই সেই অপেক্ষার অবসান ঘটবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মহানন্দা অভয়ারণ্যের ভেতর দিয়ে যাবে রেল লাইন। ফলে সবুজ ধ্বংস করা যাবে না, এই দাবি তুলে বিভিন্ন পরিবেশপ্রেমী সংগঠন বাধা দেয়, চলে আন্দোলন। অবশেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে শুরু হয় প্রকল্পটি। সেবক থেকে ছেড়ে প্রথম স্টপ হবে রিয়াং। তারপর তিস্তাবাজার এবং মল্লি স্টেশন। শেষ স্টপ সিকিমের রংপো। তার জন্যে রেলের বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ৮,৯০০ কোটি টাকা। যেহেতু এলাকাটি ধসপ্রবণ, তাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে তৈরি করা হচ্ছে এই লাইন। সেবক থেকে রংপো পর্যন্ত রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ৪৪.৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৪১.৫৫ কিলোমিটার পথ থাকবে পশ্চিমবঙ্গে। বাকি ৩.৪১ কিলোমিটার সিকিমে। ফলে আর বেশি অপেক্ষা নয়, হয়ত চলতি বছরের শেষেই মিলবে সেই সুসংবাদ। রেলপথ চালু হয়ে যাবে সিকিমে।