প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার সুজাপুর গয়েশবাড়ি এলাকায়। এলাকার একটি চায়ের দোকানের সামনে শুট আউটের ঘটনা ঘটে। অলিউল্লাহ শেখ নামে এক যুবককে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় দুই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে অভিযোগ। মাদকের কারবার সংক্রান্ত বিবাদের জেরে গুলি করা হয় বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। গুরুতর আহত অবস্থায় আলিউল্লাহ মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এই শুট আউটের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মহিদুল সেখ ও মিন্না সেখ নামে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন : যানজট থেকে মুক্তি পেতে চায় শিলিগুড়ি
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে কালিয়াচক থানার হারুগ্রাম এলাকায়। অভিযোগ, রাত থেকে দুই দুষ্কৃতী দলের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বোমাবাজির ঘটনা ঘটে এখানে। সংঘর্ষের জেরে মঙ্গলবার সকালে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রয়েস শেখ নামে এক যুবক। গুলি চালানোর অভিযোগ হাবা নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ যুবক ও হামলাকারী দুজনেই দুষ্কৃতী বলে দাবি পুলিশের। স্থানীয় সূত্রে খবর, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হারু গ্রাম এলাকা। এই ঘটনায় আব্দুর সাত্তার ও আসমাউল শেখ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আরও কয়েকজনের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র, চার রাউন্ড গুলি। মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের নেতৃত্বে এলাকাজুড়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : পরিযায়ী পাখি মেরে হোটেলে মাংস পাচার, গ্রেফতার ৪ চোরা শিকারি
আর্থিক লেনদেন এবং এলাকা দখল সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এই ঘটনা বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। গুলিবিদ্ধ যুবকের পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীরা পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা দাবি করেছিল। সেই টাকা না দেওয়াতেই বোমা ও গুলি নিয়ে হামলা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন, ‘‘ হারু গ্রামের ঘটনায় বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। দুটি ঘটনায় চারজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। কী কারণে ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশি নজরদারি আরও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।