দীর্ঘদিন ধরে গ্রন্থাগারিক ও কর্মীর অভাবে বন্ধ এই পাঠাগার। সপ্তাহে মাত্র একদিন খোলা হয়। গতকাল পাঠাগার খুলতে এসে চুরির বিষয় জানতে পারেন ভারপ্রাপ্ত কর্মী। কী পরিমান বইপত্র চুরি গিয়েছে তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট নয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পাঠাগারের বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ বইপ্রেমীরা। স্থানীয়দের দাবি, প্রায় পাঁচ বছর ধরে এই পাঠাগারে কোনও গ্রন্থাগরিক নেই। যার ফলে অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে পাঠাগার।
advertisement
আরও পড়ুন: কাঁচা পেঁপে খেতেই হবে কেন জানেন? গ্যাস ও বদহজমের মহৌষধ এটি, জানুন
রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে পরিকাঠামোর বেহাল দশা হয়েছে। ঝোপঝাড় জঙ্গলে ভরেছে গোটা গ্রন্থাগার চত্বর। ভেঙে পড়েছে জানালা, দরজা। আর সেই সুযোগেই চুরি পাঠাগারে। উল্লেখ্য, এই পাঠাগারে একসময় নিয়মিত পাঠক ছিলেন চাঁচলের ভূমিপুত্র শিবরাম চক্রবর্তী। তাঁর নিজের হাতের লেখার বেশকিছু বইপত্র ও পত্রিকার পান্ডুলিপি রয়েছে এখানে। বর্তমানে পাঠাগারের দশ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। এই গ্রন্থাগারের প্রচুর পুঁথিপত্র গবেষকদের কাছেও অমূল্য। বইপ্রেমীদের মতে রাজ্যের খুব কম গ্রন্থাগারে এত মূল্যবান সংগ্রহ রয়েছে। অথচ সেখানেই নেই কোনওরকম রক্ষণাবেক্ষণ।
আরও পড়ুন: ডিম সেদ্ধ করার সময় ফেটে যায়? খোসা ছাড়াতে হিমশিম! সমাধানের সহজ টিপস
বইপ্রেমীদের ক্ষোভ, এখানে সরকারি ভাবে দশ হাজারেরও বই থাকলেও দেখা নেই পাঠকের। কারণ, বর্তমানে তা খোলা থাকছে না গ্রন্থগারিকের অভাবে। চাঁচল থানায় চুরির অভিযোগ জানিয়েছে পাঠাগার কমিটি। ভারতী ভবন গ্রন্থাগারের সভাপতি মোহিতলাল গোস্বামী এবং সম্পাদক জয়দেব দাস জানান, ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এত বিপুল সংখ্যক বই রয়েছে যে বইপত্র চুরি গিয়েছে কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না।
তবে, বইয়ের একাধিক আলমারি লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে। অবিলম্বে স্থায়ী গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন তাঁরাও। নিয়মিত গ্রন্থাগার খোলা না হলে, বইপত্র নাড়াচাড়া না হলে বিপুল পরিমাণ বই ও মূল্যবান নথি নষ্টের আশঙ্কা করছেন তাঁরাও। পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দ্রুত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের চেষ্টা হবে।
সেবক দেবশর্মা
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F