অভিভাবক ঐক্য মঞ্চের দাবি, গত বছর আন্দোলন করার সুবাদে পুরনো পোশাকই অটুট ছিল। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুও জানিয়েছিলেন, স্কুল যদি চায় পুরনো পোশাকই বজায় রাখতে, তাতে আপত্তি জানাবে না সরকার। অন্য এক অভিভাবক জয় লোধ বলেন, "শিক্ষামন্ত্রীর ওই মন্তব্যর পরেই ফের নতুন করে নির্দেশিকা জারি করা হল কেন? শিলিগুড়ি গার্লস স্কুল এবারে ৭৫ বছরে পদার্পণ করেছে। দীর্ঘ ৭৫ বছর ঐতিহ্যের পোশাকের রঙ মেরুন-সাদা। কোনওভাবেই ঐতিহ্যকে ভেঙে পোশাকের রঙে পরিবর্তন করা যাবে না।"
advertisement
আরও পড়ুন: কে শান্তনু? কে-ই বা কুন্তল? নিজের দলের নেতাদের চিনতেই পারলেন না শোভনদেব
স্কুলের পোশাকের রঙ অপরিবর্তিত রাখার দাবি জানিয়ে এদিন পুরসভার শিক্ষা বিভাগের মেয়র পারিষদের কাছে স্মারকলিপি দিল তাঁরা। তাঁদের স্পষ্ট কথা, শিক্ষা দফতর সিদ্ধান্ত না বদলালে ধারাবাহিক আন্দোলন চলবে। এর আগে রাজ্যজুড়ে আন্দোলন হয়েছিল। আবারও হবে।
স্কুলের পোশাকেই চেনা যায় পড়ুয়াদের। আলাদা কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন হয় না। কিন্তু সব স্কুলের পোশাকের রঙ যদি হয় নীল সাদা। তাহলে তো চেনাই দায় হয়ে দাঁড়াবে যে, কে কোন স্কুলের পড়ুয়া। জানান অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যকে এই সিদ্ধান্ত আবারও পুনর্বিবেচনা করতে হবে। কারণ, প্রতিটি স্কুলেরই নিজস্ব পোশাক রয়েছে। যা দিয়ে সহজেই জানা যায় কে কোন স্কুলের ছাত্র বা ছাত্রী। অহেতুক কেন রাজ্য এই পরবর্তন চাইছে? প্রশ্ন অভিভাবকদের ঐক্য মঞ্চের।
অভিভাবকেরা একসুরেই এই ইস্যুতে গলা মিলিয়েছেন। কোনোভাবেই যে রাজ্যের চাপিয়ে দেওয়া নীল সাদা পোশাক পড়ুয়াদের গায়ে উঠবে না, তাও এদিন স্পষ্ট করেছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন গোলমাল এড়াতে প্রচুর পুলিশ ও মহিলা বাহিনী মোতায়েন ছিল পুরসভায়।