জলপাইগুড়ি জেলার ভূমিপুত্র ছিলেন স্বনামধন্য এই লেখক। পড়াশোনা করেছেন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে৷ তারপরে উচ্চশিক্ষার জন্য কলকাতায় চলে আসা৷ উত্তরের পাহাড়ি সবুজ থেকে দক্ষিণের সমতলে কংক্রিটের শহরে নেমে এলেও, তাঁর রন্ধ্রে রন্ধ্রে বসত করল ডুয়ার্স ও জলপাইগুড়ি৷ আর সেই ছাপ পড়েছিল তাঁর লেখাতেও৷ উত্তরাধিকার থেকে সাতকাহন, তাঁর বহু উপন্যাসেই ঘুরে ফিরে এসেছে এই সব অঞ্চলের কথা৷ মৌষলকাল উপন্যাসের মাধ্যমে বোধহয় ফিরেও যেতে চেয়েছিলেন ছোটবেলার সেই শহরে৷
advertisement
ভূমিপুত্রের মৃত্যুতে শোকাহত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা। ছাত্র জীবনে জেলা স্কুলে পড়াকালীন তিনি জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়ার পৈত্রিক বাড়িতে থাকতেন। তাঁর মৃত্যু সংবাদ পেয়ে সেই সব স্মৃতিচারণ করলেন হাকিম পাড়ার বাসিন্দারা।
বাংলা সাহিত্য জগতের ইন্দ্রপতন ঘটল আজ, সোমবার, ৮ মে ২০২৩। চলে গেলেন সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার। সোমবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিট নাগাদ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন : চলে গেলেন কালবেলা, সাতকাহন-এর স্রষ্টা সমরেশ মজুমদার
সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন বরেণ্য এই সাহিত্যিক। গত ২৫ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এরপরে শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। আগে থেকেই সমরেশে মজুমদারের সিওপিডি-র সমস্যা ছিল। হাসপাতালে থাকাকালীন বাড়ে ‘ঘুমের মধ্যে শ্বাসকষ্টের সমস্যা’ (স্লিপ অ্যাপনিয়া)।
তিনি চলে গেলেও রেখে গিয়েছেন তাঁর সৃষ্টি কালপুরুষ, কালবেলা, সাতকাহন সহ অসংখ্য বই। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়া নেমেছে বাংলার সাহিত্য মহলে।