শিলিগুড়িতে দুটি জায়গায় মহাজাগতিক দৃশ্য দেখার আয়োজন করা হয়। একে করোনা আবহ চলছে। তবুও কোভিড প্রোটোকল মেনেই বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে ভিড় জমে। তবে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা ছিল সঙ্গী। কখনও রোদ, আবার কখনও মুষলধারায় বৃষ্টি। আবার মেঘের ঘনঘটা সরিয়ে রোদ ঝলমলে আকাশ। এমন আবহাওয়াতেই বিরলতম দৃশ্য উপভোগ করলেন শহরবাসী। শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার সায়েন্স সেন্টারে গ্রহণ দেখার যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেও সকাল থেকে ভিড় জমায় স্কুল, কলেজের পড়ুয়ারা। টেলিস্কোপে চোখ রেখে তাঁরা দেখে নয়নাভিরাম মহাজাগতিক দৃশ্য!
advertisement
অন্যদিকে শহরের ডাবগ্রাম সূর্যসেন প্রাথমিক স্কুলের মাঠে একইভাবে আয়োজন করে স্কাই ওয়াচার্স এসোসিয়েশন অব নর্থ বেঙ্গল। স্কুলের মাঠে ৫টি টেলিস্কোপ বসানো হয়। সঙ্গে ছিল অত্যাধুনিক ভিভি উইন্ডো। আর ছিল সান গানও। অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশে চোখ রাখতেই ভেসে আসে "রিং অব ফায়ারের" অপূর্ব দৃশ্য! যা দেখে মুগ্ধ হয়ে ওঠে কচিকাঁচারা। বৃষ্টি সামান্য মন খারাপ করলেও মাহেন্দ্রক্ষণ অর্থাৎ সাড়ে ১২টা বাজতেই আকাশ ছিল ঝা চকচকে। কিছুতেই যেন টেলিস্কোপ থেকে চোখের পাতা সরে আসছিল না! স্কাই ওয়াচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থবেঙ্গলের সম্পাদক দেবাশিষ সরকার জানান, এর আগে এত পরিস্কার গ্রহণ অন্তত শিলিগুড়ি থেকে দেখা যায়নি। বর্ষাকালেও আজ ৮০ শতাংশ দেখা গিয়েছে। ছাত্র, ছাত্রীদের মধ্যেও উৎসাহ ছিল দেখার মতোই।
এক স্কুল ছাত্রী সঞ্চারী পাল জানায়, আবহাওয়ার জন্যে ভাবতেই পারিনি দেখতে পাবো। কিন্তু আকাশে মেঘ সরে যেতেই সূর্যের অপরূপ ছবি দেখতে পেলাম। বেশ ভালো অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়ে রইলাম। এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর দেখা গিয়েছিল। ফের সূর্যের এই বিরল দৃশ্য দেখার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে ২০৩১ সাল পর্যন্ত!
Partha Sarkar