সেবক দেবশর্মা, মালদহ: আরজি কর হাসপাতালের মহিলা জুনিয়র ডাক্তারের রহস্যমৃত্যু। প্রেমিকের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। অভিযুক্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র চিকিত্সক। আর সেই আবহেই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে মালদহ থেকেই আটক করা হয়েছিল অভিযুক্ত মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারির পড়ুয়াকে। দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের শেষে তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
advertisement
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম অনিন্দিতা সোরেন। বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে। পড়াশোনার সূত্রেই থাকতেন কলকাতায়। অন্যদিকে, গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্ত, তার বাড়ি পুরুলিয়ায়। মালদহে মেডিক্যালের ছাত্র। নাম উজ্জ্বল সোরেন।
মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে ইংরেজবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের। ওষুধ জাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছিল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। মৃত এমবিবিএস ছাত্রী অনিন্দিতা সরেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এমবিবিএস-এর ছাত্রী। মৃতার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাটে। প্রেমিক উজ্জ্বলের বাড়ি পুরুলিয়াতে।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দুজনের পরিচয় হয়। প্রেমিক উজ্জ্বলের সঙ্গে দেখা করতে অনিন্দিতা গত সোমবার মালদহে এসেছিল। এরপর তারা দুজন মালদহ শহরের একটি হোটেলে ছিল। সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আরজি করের ওই ডাক্তারি পড়ুয়া। এরপর তাকে ভর্তি করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।
কলকাতা নিয়ে যাওয়ার পথে শুক্রবার গভীর রাতে মৃত্যু হয় ওই ছাত্রীর। পরিবারের অভিযোগ, ওষুধ জাতীয় কিছু খাইয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরিবারের অনুমান গর্ভবতী ছিল তাঁদের মেয়ে। এই কারণে উজ্জ্বলকে রেজিস্ট্রির কথা বলে অনিন্দিতা। এই নিয়ে তাদের মধ্যে মন কষাকষি চলছিল। সেই সঙ্গে অনিন্দিতার ওপর উজ্জ্বল বিভিন্ন রকম ভাবে মানসিক অত্যাচার করত বলে অভিযোগ পরিবারের। এদিকে এই ঘটনার পর থেকেই উজ্জ্বল বেপাত্তা ছিল। কিন্তু শেষে তাকে আটক করে পুলিশ। রবিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অনিন্দিতার মৃত্যুর পরই উজ্জ্বলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে তরুণীর পরিবার। মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাঁর প্রেমিকই ষড়যন্ত্র করে তাঁকে বিষাক্ত কিছু খাইয়ে খুন করেছেন। ঘটনায় তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে নেমে উজ্জ্বলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করল পুলিশ।