আরও পড়ুন: ঘুম ভাঙতেই হাড় হিম করা ঘটনা! সেতুর তলায় নজর যেতেই তীব্র চাঞ্চল্য
এই পরিস্থিতিতে সংসার চালাতে বাধ্য হয়ে এলাকার বাসিন্দারা কৃষিকাজ ছেড়ে ভিন জেলা ও ভিন রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছেন। বক্সার জঙ্গলঘেরা গ্রাম রাজাভাতখাওয়া। গ্রাম বললে ভুল হবে, এখানে জঙ্গলের ঘনত্ব বেশি। রাজাভাতখাওয়ার জঙ্গল পেরোলেই গ্রাম পাম্পু বস্তি। এখানে কৃষিকাজ প্রধান জীবিকা স্থানীয়দের। বিভিন্ন মরশুমে শাকসব্জির চাষ তো হয়ই, তাছাড়া ধান, ভুট্টার চাষ হয় এলাকায়। বছর খানেক আগেও শীতকাল এলেই সর্ষের গাছে ছেয়ে যেত এলাকার ক্ষেত। কিন্তু এই শীতে দেখা মেলেনি সর্ষে ক্ষেতের।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এবার শুনশান এলাকার কৃষিক্ষেতগুলি। পরিবারগুলোর শক্ত সামর্থ্য একটাও ছেলে আর গ্রামে নেই। পেটের দায়ে ছুটেছে অন্যত্র কাজ করতে। ফলে কে আর করবে চাষ। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ফুলমণি রাভা বলেন, কোনও কিছু চাষ করেই শান্তি নেই। হাতি, বাইসন চলে আসছে যখন তখন। তছনছ করে দিচ্ছে ক্ষেত। অনেক লোকসান হয়ে যাচ্ছে। এবারে তাই আর কোনও চাষ হয়নি এলাকায়। রাজাভাতখাওয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই পাম্পু বস্তি। এলাকার যুবকেরা চলে গিয়েছে অন্যত্র কাজ করতে, বর্তমানে যুবতীরাও নেই এলাকায়। তাঁরাও বেরিয়ে পড়ছেন। এই পরিস্থিতিতে বন্যপ্রাণীদের গতিবিধির উপর বন দফতর যেন আরও কড়া নজরদারি চালায়, এটাই চাইছে অসহায় মানুষগুলো।
অনন্যা দে