জানা গিয়েছে, এই বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীটি মঙ্গলবার বিকেলে বগড়িবাড়ি এলাকায় একটি বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আর যেহেতু কিছুদিন আগেই এলাকায় ভাল্লুকের আতঙ্ক ছড়ায়, তাই এটা দেখে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে এলাকাবাসী। এরপর তার ছবি তুলে পশুপ্রেমী সংগঠন ও বনদপ্তরকে পাঠানো হয়। এরপর জানা যায় এটি একটি বিরল প্রজাতির চাইনিজ ফেরেট ব্যাজার বা বার্মিজ ফেরেট ব্যাজার বলা হয়ে থাকে (Burmese ferret-badger)। এটি সাধারণত শুকনো ঝোপ জঙ্গলে থাকে এবং হিংস্র হয়।এটি দেখতে অনেকটা কাঠবিড়ালির মতো তবে নখগুলো ভাল্লুকের মতো। তবে গায়ের রং কালো এবং সাদা ডোরাকাটা। তবে হিংস্র হলেও তা মানুষের উপর আক্রমণ করে না।
advertisement
এদিকে বিরল প্রজাতির এই ধরনের বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে আসায় চিন্তিত পরিবেশবিদরা। তাদের প্রশ্ন কিভাবে এই ধরনের বন্য প্রাণীগুলো জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসছে? তবে কি জঙ্গলে তাদের থাকার মত আর পরিবেশ নেই?
আরও পড়ুন : উড়ানের মাঝে আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি শহরের রাজপথে পড়েই মৃত, ভিডিওতে শিউরে উঠছেন নেটিজেনরা
বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় বলেন, ‘‘ এটা একটা বিরল প্রজাতির প্রাণী। এরা সচরাচর লোকালয়ে পাওয়া যায় না, তবে গত চার বছর ধরে এদের হদিশ মিলছে ডুয়ার্সের বিভিন্ন গ্রামে। কী কারণে লোকালয়ে বেরিয়ে আসছে তার খোজ করা হচ্ছে। এটি একটি চিন্তার বিষয়, কারণ লোকালয়ে এদের সচরাচর দেখা যায় না। লোকালয়ে দেখে ভুলবশত মানুষেরা ক্ষতিও করে দিতে পারে। এছাড়াও কুকুর বা অন্য জন্তুর দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে ।’’
আরও পড়ুন : ঘরে বাইরে সামলাতে গিয়ে নাস্তানাবুদ? ব্যক্তিগত ও পেশাদার জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখুন এভাবেই
পরিবেশপ্রেমী নফশার আলি জানান, ‘‘এ ধরনের গভীর জঙ্গলের বিরল প্রজাতির জন্তু লোকালয়ে বেরিয়ে আসা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। হয়তো তাদের বাসস্থানে কোনও রকম অসুবিধা হয়েছে তাই তারা লোকালয়ে চলে আসে অথবা খাবারের খোঁজে চলে আসতে পারে। আমরা আবেদন করব বনদপ্তর এ বিষয়ে নজর দিক।’’
(প্রতিবেদন : রকি চৌধুরী)