আলিপুরদুয়ারে, ৪৬ রুট কিলোমিটার (আরকেএম)/৫০.৫৩৬ ট্র্যাক কিলোমিটার (টিকেএম) জুড়ে বিস্তৃত ফকিরাগ্রাম-গোলকগঞ্জ সেকশনের বৈদ্যুতীকরণ, সম্পূর্ণ ডিভিশনের বৈদ্যুতীকরণের দিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা অধিক কার্যকারিতা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একইভাবে, ৪৯.৮১ আরকেএম/৫৫.৭১ টিকেএম দৈর্ঘের নিউ কোচবিহার-দিনহাটা-বামনহাট সেকশনের বৈদ্যুতীকরণ, উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে-তে বৈদ্যুতীকরণের অগ্রগতিকে আরও শক্তিশালী করবে। এই সাফল্যগুলির মধ্যে এসসিএডিএ বাস্তবায়ন, স্টেশনগুলিতে ট্রিপ ইউনিট রেটিং সরবরাহ এবং সফল ইলেক্ট্রিক লোকো ট্রায়াল-সহ মুখ্য আপগ্রেডগুলি রয়েছে৷
advertisement
উল্লেখযোগ্যভাবে, ইলেক্ট্রিক লোকো ট্রায়াল ১৯:১৬ ঘন্টায় শুরু হয় এবং ২০:১১ ঘন্টায় ইলেক্ট্রিক লোকোটি ফকিরাগ্রাম পৌঁছায়, যা বৈদ্যুতীকরণের সফল বাস্তবায়নকে প্রদর্শন করে। এই মাইলফলকের সঙ্গে, এই ডিভিশন বাধাহীন বৈদ্যুতিক ট্রেন পরিচালন করতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত, ফলে দ্রুত ভ্রমণ, কম নির্গমন এবং সাশ্রয়ী রেলওয়ে ভ্রমণ সুবিধা সম্ভব হয়ে উঠবে।
এর পাশাপাশি, তিনসুকিয়া ডিভিশনের মরিয়নি-যোরহাট টাউন সেকশনের বৈদ্যুতীকরণের কাজও এগচ্ছে। ১৮.২১৫ আরকেএম/২২.৭২৫ টিকেএম দৈর্ঘের এই সেকশনে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ সক্রিয় ভাবে চলছে। যেমন, সাব-স্টেশন, অগজিলিয়ারি ট্রান্সফর্মার ও সুপারভাইজারি কন্ট্রোল ও ডেটা অ্যাকুইজিশন ইনস্টলেশনের কাজ। সেই সঙ্গে, লেভেল ক্রসিং ও ওভার-লাইন স্ট্রাকচারগুলোর বৈদ্যুতীকরণের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে।
এই সব কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে রেল পরিকাঠামোকে আধুনিক করে তোলার জন্য দায়বদ্ধ এবং ভারত সরকারের ‘মিশন ইলেকট্রিফিকেশন’ উদ্যোগের ক্ষেত্রেও অবদান রাখছে। স্থায়িত্ব ও কার্যাকারিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে উত্তর পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে এমন এক রেলওয়ে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পথ প্রশস্ত করছে যা হবে পরিবেশের অনুকূল, আরও বিশ্বস্ত ও ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত। যে-নেটওয়ার্ক অবিরাম ভাবে উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলিকে দেশের বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করবে।