ঘটনার তদন্তে নেমে খুনের অভিযোগে মালদহ থানার মৌলপুর এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মোবারক(২১) এবং জাকির সেখ(২২)-কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরমধ্যে মহম্মদ মোবারক-এর সঙ্গে মৃত রেলকর্মী হনুমান রায়ের সমকামী সম্পর্কের বিষয়টি সামনে আসে। সমকামী সম্পর্কের ভিডিও তুলে তা ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেল করা হত বলে দাবি করেন মূল অভিযুক্ত মোবারক। বারবার সম্পর্কের জন্য বাধ্য করা হত বলেও দাবি। এমনকি নতুন কাউকে একই ধরনের সম্পর্কে আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়। এরপর বন্ধু জাকির কে সঙ্গে করে এনে দুই বন্ধু খুন করে রেলকর্মী হনুমানকে।
advertisement
মৃতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে তদন্তে সাফল্য পায় পুলিশ। মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধার হয় জাকিরের হেফাজত থেকে। খুনের কয়েক ঘন্টা আগে পর্যন্ত মৃত হনুমানের সঙ্গে অভিযুক্তের ফোনে যোগাযোগের বিষয়টিও নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে খুনের অভিযোগে মামলা শুরু করে পুলিশ। মামলায় একাধিক ইলেক্ট্রনিক তথ্যপ্রমাণ থাকায় স্পেশাল পিপি হিসেবে নিয়োগ করা হয় সাইবার বিশেষজ্ঞ বিভাস চট্টোপাধ্যায়কে।
আরও পড়ুন: বড় খবর, উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসে ফের বিরাট রদবদল সংসদের! যা জানতেই হবে...
মামলার স্পেশাল পিপি বিভাসবাবু জানান, করোণা আবহে যখন আদালতের কাজকর্ম গতি অনেকটাই কম। সেই সময় আড়াই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে এই মামলার রায় বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শুধু তাই নয় এই মামলায় অনেকগুলি ইলেকট্রনিক ডিভাইস দোষীদের চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।
যদিও আসামিপক্ষের আইনজীবী সুদীপ্ত গাঙ্গুলী বলেন, এই বিচারে তাঁরা সন্তুষ্ট নন। তাঁরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন। অন্যতম অভিযুক্ত মোবারকের বাবা হাসান শেখ দাবি করেন, ছেলে নির্দোষ।