কলকাতা থেকে মালদহ বা উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন ট্রেনে রীতিমতো টিকিট কেটে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় উঠত এই আলামিন ও তার গ্যাং। এরপর রাত গভীর হলে অথবা ভোররাতে যাত্রীদের অসাবধানতার সুযোগ নিয়ে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিত আলামিন। চলন্ত ট্রেন থেকে নেমে নিমেষে হাওয়া হয়ে যাওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত পটু এই দুষ্কৃতী।
আরও পড়ুন: রুটি নিয়ে স্কুলে এসেছিল ছাত্র, টিফিন টাইমে মর্মান্তিক কাণ্ড! হতবাক সহপাঠীরা
advertisement
কালিয়াচকের গয়েশবাড়ির বাসিন্দা আলামিনকে আগেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এরপর সে জামিনে মুক্ত হয়ে যায়। এরপর রীতিমতো দল গড়ে অপারেশন চালাচ্ছিল সে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শিয়ালদা থেকে বালুরঘাটগামী এক্সপ্রেস ট্রেনে তাকে গ্রেফতার করে মালদহ রেল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করে তার গ্যাংয়ের বাকি সাকরেদদের খোঁজ পেতে চাইছে পুলিশ। ধৃতকে আজ তোলা হয় মালদহ জেলা আদালতে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসের মধ্যে গৌড় এক্সপ্রেস, শিয়ালদহ- বালুরঘাট এক্সপ্রেস এর মতো একাধিক ট্রেনের শীততাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা থেকে একাধিক যাত্রীর মূল্যবান সামগ্রী খোয়া গিয়েছে। এ নিয়ে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের হয় মালদহ জিআরপি থানায় এবং ইংরেজবাজার থানায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তের নেমে আলামিনের নাম পায় তদন্তকারীরা। এর পরেই তার খোঁজ চলছিল।
যদিও গ্রেফতার করে আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি আলামিন।