এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার ভিটি কাঠিয়ারের বাঙ্গার মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘাতক লরি ও টাটা সুমোটিকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার ভাটোল গ্রাম পঞ্চায়েতের রাজকুমার সরকারের মেয়ে ঝুম্পা সরকারের পারিবারিক সমস্যা মেটাতে দক্ষিণ দিনাজপুর হরিরামপুর দোলগাঁও গ্রামে একটি টাটা সুমো করে রাজকুমার সরকার ও তাঁর স্ত্রী দুলালী সরকার, জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমুল কংগ্রেসের সদস্য মানস সরকার-সহ গ্রামের প্রশান্ত সরকার, অলোক মণ্ডল, সঞ্জয় মন্ডল ও দুলারানী সরকার এঁদের নিয়ে ওই সমস্যার সমাধান করতে যাচ্ছিলেন। তাঁদের টাটা সুমোটি ভিটি কাঠিয়ারের বাঙ্গার মোড় এলাকার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে পৌঁছাতে উল্টো দিক থেকে আশা একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা খায়।
advertisement
এই সংঘর্ষে টাটা সুমোতে থাকা সবাই গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে কথা ছুটে আসে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশের সাহায্যে তড়িঘড়ি গুরুতর আহতদের রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: মাঠে তারকা, গ্যালারি ফাঁকা! বেঙ্গল Pro T-20 লিগ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিৎ-রুক্মিণী-নুসরত
তাঁদের মধ্যে অলোক মণ্ডলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই দুর্ঘটনার খবর জানাজানি হতেই হাসপাতালে ছুটে আসে আত্মীয় পরিজনেরা। দেবাশিস মণ্ডল নামে একজন বলেন, “পারিবারিক সমস্যা মেটাতে আমার কাকা স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য এবং আরও কয়েকজন গ্রামের লোকজনকে নিয়ে সমস্যা মেটাতে যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে লড়ির সঙ্গে কাকাদের গাড়িটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।”
মলয় সরকার নামে অন্য একজন জানিয়েছেন, একই গ্রামের ৯ জন এবং ড্রাইভার মিলে হরিরামপুর যাচ্ছিলেন পারিবারিক বিবাদের সমস্যার সমাধান করতে। যাওয়ার পথে তাঁদের গাড়িটি একটি লরির সঙ্গে ধাক্কা খায়।
অন্যদিকে দুই নম্বর জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিশ্বজিৎ বর্মণের বয়ান, “আমারই গ্রামের একজনের মেয়ের শ্বশুরবাড়ির সমস্যা সমাধান করতে যাচ্ছিল হরিরামপুরে। দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে ছ’জনের অবস্থা গুরুতর ও চারজনের মৃত্যু হয়।
মুক্তা সরকার