একাধিক দোকান থেকে সন্দেহজনক বেশকিছু ঘি, তেল-মশলার নমুনা সংগ্রহ করে ফুড সেফটি বিভাগ। ওই সব উপকরণ পরীক্ষার জন্য কলকাতায় বিভাগীয় পরীক্ষাগারে পাঠানো হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে ফুড সেফটি বিভাগ। এ দিন বাজারে পরিদর্শনের সময় দেখা যায় বহু দোকানেই লেবেলবিহীন জিনিসপত্র বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন খাবার উপকরণের গায়ে প্রস্তুতকারক কে, কবে তৈরি, কতদিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে এ সব কোনওরকম নির্দেশিকা নেই। অভিযোগ, অনেক খাবারের দোকানের ফুড লাইসেন্সও পাওয়া যায়নি। বহু খাবার দোকানে খাবার জিনিসপত্র আঢাকা অবস্থায় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তদন্তকারীরা। বাজারে বেশ কিছু বিক্রেতাকে সতর্কও করা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : এক শ্রেণীর কর্মীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণে ক্ষুণ্ণ মেডিক্যাল কলেজের ভাবমূর্তি
মালদহের ব্যস্ততম বাজারে এভাবে আচমকা এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও ফুড সেফটি বিভাগের অভিযানে হৈ চৈ পড়ে যায়। বহু ব্যবসায়ী তদন্তকারীদের জানান, তাঁরা দ্রুত ফুড লাইসেন্স তৈরি করিয়ে নেবেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী সমিতির তরফ থেকে তদন্তকারীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে অবিলম্বে এলাকায় ফুড লাইসেন্স তৈরির ক্যাম্প চালুর দাবি জানানো হয়। নেতাজি মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মানিক জয়সওয়াল বলেন, ‘‘ আমরা প্রত্যেক ব্যবসায়ীদেরই গুণমানসম্পন্ন জিনিসপত্র বিক্রির জন্য বলি। এর আগেও তিন দিন বাজারে ফুড সেফটি সংক্রান্ত শিবির করা হয়েছিল। আমরা বলেছি, এখনও যে সব ব্যবসায়ীর ফুড সেফটি লাইসেন্স নেই তাঁরা অতি দ্রুত প্রয়োজনীয় লাইসেন্স করিয়ে নেবেন।’’
আরও পড়ুন : রোগা হয়ে ওজন কমাতে চান? প্রাণ ভরে ফুচকা খান
ফুড সেফটি আধিকারিক কুমার সন্দীপ কুমার বলেন, ‘‘ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় বেশ কিছু দোকান থেকে উপকরণের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। কলকাতার পরীক্ষাগার থেকে পাওয়া রিপোর্ট দেখে যে সব নমুনা ভেজাল ও নিম্নমানের বলে দেখা যাবে, তাদের বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’