TRENDING:

ত্রাণ ও কেন্দ্রীয় সাহায্য চায় কুইন অফ হিলসের চা বাগান   

Last Updated:

দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন বলছে লকডাউনের জেরে চা এর উৎপাদন কমেছে। হিসেব বলছে প্রায় ১৫ লক্ষ কেজি চায়ের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#দার্জিলিং: গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনের জেরে তিন বছর আগে দার্জিলিং পাহাড়ে যে অশান্তি হয় তার জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে পড়ে চা শিল্প। লাগাতার দু'বছর চেষ্টার পরে কিছুটা হলেও হাল ফিরেছিল দার্জিলিং পাহাড়ের চা বাগান গুলির। কিন্তু করোনার জেরে ফের অন্ধকার পাহাড়ের চা বাগানে। পাহাড়ের একাধিক চা বাগানে সামাজিক দুরত্ব মেনে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু হলেও চা শিল্প ফের ধুঁকতে শুরু করে দিল কুইন অফ হিলসে।
advertisement

দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন বলছে লকডাউনের জেরে চা এর উৎপাদন কমেছে। হিসেব বলছে প্রায় ১৫ লক্ষ কেজি চায়ের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। যার ফলে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হতে চলেছে বলে আশংকা প্রকাশ করছেন টি অ্যাসোসিয়েশনের আধিকারিকরা। এই অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সাহায্য চাইছে তারা।জেলা আলাদা হলেও দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের চা কুইন অফ হিলসের চা বলেই বিশ্ব বাজারে পরিচিত। এই চা'য়ের ফাস্ট ফ্লাশ ও সেকেন্ড ফ্লাশ বিশ্ব বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়। গোটা বিশ্ব জুড়ে তার চাহিদা বিপুল।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ছট পুজো ঘাটে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ-প্রশাসনের কড়াকড়ি! জারি করা হল 'এইসব' নির্দেশ
আরও দেখুন

২০১৭ সালে পাহাড়ে আন্দোলনের জেরে পাহাড়ের অধিকাংশ চা বাগান থেকে চা পাতা তোলা যায়নি। বাগানে চা গাছ বৃদ্ধি পেলেও চা পাতা তোলা যায়নি। তার জেরে ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল অবধি দেশের বাজারে দার্জিলিং চায়ের বাহার কমতে শুরু করে। ২০১৯ সাল থেকে চা ব্যবসাকে ঘুরে দাঁড় করাতে চেষ্টা করে দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশন। কিন্তু চলতি বছরে গোড়ার দিক থেকেই লকডাউনের জেরে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে তা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে কেন্দ্রীয় সাহায্য ছাড়া যে সম্ভব হবে না সেটা বুঝেছে টি অ্যাসোসিয়েশন। ফাস্ট ফ্লাশ চা প্রায় হয়নি বললেই চলে। যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে সেকেন্ড ফ্লাশ কতটা উৎপাদিত হবে আর কতটাই বা রফতানি হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কারণ ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান যারা মুলত কুইন অফ হিলসের চা গ্রহণ করে সেখানেও করোনার জেরে বাজারের হাল খারাপ। ফলে লকডাউন মিটলেও আদৌ চা রফতানি হবে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছেন ব্যবসায়ীরা। এর ওপরে যুক্ত হয়েছে জালিয়াতি। দার্জিলিং চা জিআই ট্যাগ পেলেও বহু জায়গায় নেপাল চা, দার্জিলিং চা বলে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। সবমিলিয়ে কুইন অফ হিলসের চা রফতানি প্রায় ৫৫% কমে যাবে বলেই ধারণা দার্জিলিং টি অ্যাসোসিয়েশনের। কেন্দ্রীয় সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রক ও টি বোডের কাছে তারা আবেদন করেছে, বাগানে ত্রাণ দেওয়া হোক। ব্যাংকের ঋণ শোধ ছয় মাস স্থগিত করে দিক।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
ত্রাণ ও কেন্দ্রীয় সাহায্য চায় কুইন অফ হিলসের চা বাগান   
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল