গ্রামবাসীদের ক্ষোভের মুখে খাদ্য দফতরের আধিকারিক। লাইসেন্স বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে গ্রামবাসীরা। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গাজলের মশালদিঘি গ্রামে। রেশন ডিলারকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেন খাদ্য দফতরের কর্তা।
প্রয়োজনে নিকটবর্তী ডিলারের কাছ থেকে গ্রামবাসীরা রেশন পাবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। করোনাজনিত লকডাউন পরিস্থিতিতে গ্রাম বাংলার গরিব মানুষ যাতে অভুক্ত না থাকেন এ জন্য রাজ্য সরকার গরিবদের আগামী ছয়মাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
advertisement
মাথাপিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্যদপ্তর ।কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, ওই এলাকার রেশন ডিলার আনন্দ বিশ্বাস দীর্ঘদিন ধরেই রেশনের মালপত্রে কারচুপি করছেন। গ্রাহকদের বরাদ্দ সম্পর্কে সঠিক তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি বরাদ্দ থেকে কম পরিমাণ মালপত্র দেওয়া হচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ। স্থানীয় গ্রাহক হরিপদ বিশ্বাস, সত্যজিৎ বিশ্বাস বলেন - শুক্রবার পুলিশ ও স্থানীয় বিডিও এসে ডিলারকে সতর্ক করে দিয়ে যান। কিন্তু এরপরেও কোন কাজ হয়নি।
মাথাপিছু ৫ কেজির বদলে গ্রাহকদের মাথাপিছু দু-কেজি করে চাল এবং দেড় কেজি করে আটা দেওয়া হচ্ছিল। এই নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। এছাড়াও কোন গ্রাহককেই মালপত্রের কোন রশিদ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
শনিবার দুপুরে মালদহের মহকুমা খাদ্য নিয়ামক স্বপ্নদ্বীপ চৌধুরী এলাকায় তদন্ত গেলে তাঁর সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন গ্রাহকরা। সামাজিক দূরত্বের সর্তকতা ভুলে রেশনের দোকানে চড়াও হন অনেকেই। ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়েই রেশন ডিলার লাইসেন্স বাতিলের দাবিও করা হয়। গ্রাহকদের অভিযোগ গুরুতর বলে জানিয়েছেন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে আগাম শোকজ না করে কাউকেই লাইসেন্স খারিজ করা যায় না। এজন্যই সরকারি পদ্ধতি মেনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা।