অভিযোগ, চম্পাবাগে যৌনপল্লিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আচমকাই কিছু মানুষ ওই পরিবারের ঘরে ঢুকে তাঁদের ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।পরে তাঁরা জানতে পারেন, এলাকার জমি মাফিয়ারা সেই জমি কিনে নিয়েছে। খোলা আকাশের নীচে কয়েকরাত কাটাবার পর ইসলামপুর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা সত্বেও পুলিশ হাতগুটিয়ে বসে থাকে। বাধ্য হয়েই তাঁরা ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সচিন মক্কারের দ্বারস্থ হন৷ কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি৷
advertisement
পুলিশ সুপার সচিন মক্কার জানিয়েছেন,অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে।
ইসলামপুর ব্লকের যৌনপল্লিপল্লি চম্পাবাগে দীর্ঘদিন যাবদ বসবাস করতেন বাবলি শর্মার পরিবার। স্বামী-সহ তিন মেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে সংসার করছিলেন। বড় মেয়ে লাবলি চৌধুরী এবারে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসবে।
গত সাত তারিখ থেকে মাধ্যমিক ছাত্রী খোলা আকাশের নীচে থাকায় পড়াশুনা শিকেয় উঠেছে।মাধ্যমিকের এডমিট কার্ড সহ বইপত্র ঘরের মধ্যে থাকায় এবারে তার পরীক্ষা দেওয়া সংশয় দেখা দিয়েছে।পুলিশ সুপার শচীন মক্কার জানিয়েছেন,ঘর ছাড়া মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশী তদন্ত শুরু হয়েছে।
ঘরের তালা খুলে না দিলে যৌনকর্মীর মেয়ের হয়ত মাধ্যমিক পরীক্ষাতে বসতে পারবে না।