কিন্তু গত ২৪ জানুয়ারির এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সর্বশেষ বৈঠকে সেই সব নেওয়া সিদ্ধান্ত কার্যকর কোনও কথা বলেনি কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সমস্য়ায় পড়েছে দেড়শোর বেশি অস্থায়ী কর্মী ।
কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি শুভায়ু দাসর কথায়, ‘আমরা ২০১৯-এর রোপা অনুযায়ী বেতনের কথা বলেছিলাম। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল তা মেনেও নেয়। পরে জানানো হয়, স্থায়ী কর্মী ছাড়া রোপা সুবিধা দেওয়া সম্ভব নয়। এরপর আমরা এন্ট্রি লেভেল অনুযায়ী আর্থসামাজিক পরিস্থিতির বিবেচনা করে বেতন বৃদ্ধির আর্জি জানাই। কিন্তু, কর্তৃপক্ষ তা মানতে চাইছেন না। এই জন্যই লাগাতার বিক্ষোভ চালাতে হচ্ছে।’
advertisement
কর্মী সংগঠনের এই দাবি মানতে নারাজ গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার বিপ্লব গিরি। তিনি জানালেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল নীতিগতভাবে কর্মচারী সংগঠনের দাবি মেনে নিয়েছিল ঠিকই । কিন্তু সরকারিভাবে এখনো অস্থায়ী কর্মীদের রোপা অনুযায়ী নতুন বেতনক্রম নির্দিষ্ট হয়নি । এই অবস্থায় কর্মীদের বাড়তি বেতন ধার্য করা সম্ভব নয়। এই বিষয়টি আন্দোলনকারী কর্মীরা বুঝতে চাইছেন না। এতেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। তবে দ্রূত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানো হবে।’
গত নভেম্বর মাসের শেষে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক স্বাগত সেন ইস্তফা দেন। তার পদত্যাগপত্র এখনও গ্রহণ করেনি' রাজ্য সরকার। তিনিও আর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি ।পরিবর্তে কলকাতাতেই থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজকর্ম করছেন তিনি। কিন্তু, স্থায়ীভাবে ক্যাম্পাসে উপাচার্য না থাকায় রোজকার নানা সমস্যা হচ্ছে । একদিকে প্রশাসনিক প্রধানের অনুপস্থিতি, অন্যদিকে কর্মচারীদের মাঝে মধ্যেই আন্দোলন।সবমিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।