সেই সময়ে বামফ্রন্ট সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের রফিকুল। ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী ৩৫ হাজারেরও বেশি ভোট পান। কিন্তু, এর পরেও হরিশচন্দ্রপুর আসনে জয়লাভ করে কংগ্রেস। এবার সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হিসাবে হরিশচন্দ্রপুর লড়াইয়ের দাবি জানিয়েছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। কিন্তু, গতবার জেতা আসন হিসেবে হরিশচন্দ্রপুরে প্রার্থী ঘোষণা করে দেয় কংগ্রেস। ইতিমধ্যে ওই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন গতবারের কংগ্রেস বিধায়ক মোস্তাক আলম।
advertisement
কিন্তু, বুধবার মনোনয়ন পেশের শেষদিনে বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লক হরিশচন্দ্রপুরে প্রার্থী দিয়ে দেওয়ায় সংযুক্ত মোর্চায় অনৈক্য প্রকাশ্যে চলে এল। উল্লেখ্য, এর আগে মোর্চার শরিক হলেও মালদহে কংগ্রেসের জেতা দুই আসন সুজাপুর এবং মোথাবাড়িতে আলাদা করে প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট। এনিয়ে আগেই কংগ্রেস ও আইএসএফের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
বুধবার মনোনয়নের পরে হরিশচন্দ্রপুরের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী রফিকুল আলম এবং ফরওয়ার্ড জেলা সাধারন সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র বলেন, "২০১৬ সালে আমাদের বামফ্রন্টের প্রার্থীর বিরুদ্ধে এক তরফা প্রার্থী দাঁড় করিয়েও মুখে বন্ধুত্বপূর্ন লড়াই এর কথা বলেছিল কংগ্রেস । তা হলে এবার আলাদা লড়াই হবে না কেন। তাছাড়া হরিশচন্দ্রপুর বরাবরই বামফ্রন্টের শক্তিশালী আসন। ওই আসন ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।"
এদিকে সংযুক্ত মোর্চায় কোন্দলে অস্বস্তিতে কংগ্রেস ও সিপিএম । অবিলম্বে ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রার্থী প্রত্যাহারের দাবি করেছে কংগ্রেস। সিপিএম জেলা সম্পাদক তথা মালদহ বামফ্রন্টের আহ্বায়ক অম্বর মিত্র বলেন, "হরিশচন্দ্রপুরে মোর্চার প্রার্থী কংগ্রেসের মোস্তাক আলম। ফরওয়ার্ড ব্লকের মনোনয়ন পেশ নিয়ে যথাযোগ্য জায়গায় আলোচনা হবে।"
সেবক দেবশর্মা