বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনার তৃতীয় ঢেউ আসন্ন। আর তাতে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল। সে কারণে কোমর বেঁধে নেমেছে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যেই মেডিক্যালের পুরোনো ভবনে শিশু বিভাগের পাশেই তৈরি হচ্ছে এই পেডিয়াট্রিক ইন্সেনটিভ কেয়ার ইউনিট। যেখানে প্রায় ৪৫ টি বেড থাকছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। বেড বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ। অক্সিজেনের পাইপ লাইনের কাজ থেকে শুরু করে ভেন্টিলেটর স্থাপনে দ্রুততার সঙ্গে চলছে সেই কাজ।
advertisement
দুর্গাপুজার সময়কালেই করোনার তৃতীয় ঢেউ বাংলাতেও আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথা জানানো হয়েছে। তার আগেই সাবধানতা অবলম্বনের নিদান দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ মহল। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরও সে কারণে, বিশেষত শিশুদের কথা মাথায় রেখে রাজ্যের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও জেলা হাসপাতালগুলিতে পিকু তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে।
রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ কৌশিক সমাজদার জানিয়েছেন, শিশু বিভাগের পাশেই প্রায় ৪৫ বেডের উন্নতমানের পিকু তৈরি হচ্ছে। বেড চলে এসেছে। ভেন্টিলেটর, অক্সিজেন সরবরাহ থেকে শুরু করে আনুষাঙ্গিক যন্ত্রাংশ স্থাপনের কাজ চলছে। আগামী কিছু দিনের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে তিনি আশাবাদী। তিনি জানান, তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ প্রস্তুত। আক্রান্ত শিশুদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পিকু তৈরিতে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, অধ্যক্ষ জানিয়েছেন।
Uttam Pal