অথচ গরিব মানুষের ঘরের তালিকায় নাম ওঠেনি। ঘর বিলিতে রাজনৈতিক স্বজনপোষণ, এবং কাটমানির লেনদেন হয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন আন্দোলনকারীরা। অফিস টাইমে কয়েক"শ বিক্ষোভকারি ব্লক অফিস চত্বরে ঢুকে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিডিও অফিসের প্রবেশপথে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই তালা ভাঙার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। অবিলম্বে উপভোক্তার তালিকা নতুন করে তৈরির দাবিও তুলেছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুন: বিরাট স্বস্তি শুভেন্দু অধিকারীর, রাজ্যের সব FIR স্থগিত হাইকোর্টে! বড় রায়
ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য জেলার সঙ্গে মালদহের বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে আবাস যোজনার তালিকা খতিয়ে দেখছে সমীক্ষক দল। ফলে কাদের নাম তালিকায় উঠেছে, আর কারা তালিকা থেকে আবেদন জানানোর পরেও বাদ পড়েছেন ? সেই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। আর এনিয়ে ক্ষোভ ছড়াচ্ছে গ্রামে। মানিকচকের পশ্চিম নারায়নপুর গ্রামে আবাস যোজনার তালিকা তৈরিতে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, এমন অনেকের নাম তালিকায় রয়েছে যাঁদের পাকা বাড়ি রয়েছে, সরকারি চাকুরে বাড়িতে রয়েছেন, চার চাকার গাড়ি রয়েছে, অথবা আগেও আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন। এমন কিছু বাড়ি রয়েছে যেখানে গোয়াল ঘরের ছবি তুলে আবাস যোজনা তালিকায় নাম তোলা হয়েছে। অথচ, প্রকৃত গরিব যাঁদের পাকা বাড়ি নেই, ঘর প্রয়োজন তাঁদের অনেকেই তালিকায় জায়গা পাননি।
আরও পড়ুন: রেকর্ড আসন নিয়ে মোদির গুজরাত বিজেপি'রই, হিমাচলে ক্ষমতায় ফিরল কংগ্রেস!
এই অবস্থায় সম্পূর্ণ তালিকা যাচাইয়ের দাবি উঠেছে। সকাল থেকে মানিকচক ব্লক ও পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে জড়ো হন গ্রাম থেকে আসা বঞ্চিত মানুষজন। তাদের দাবি সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি তোলেন।বিক্ষোভ সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হয়। তবে তালিকা নিরপেক্ষ ও নতুন ভাবে তৈরির দাবিতে অনড় থাকেন আন্দোলনকারীরা।