TRENDING:

করোনা পরবর্তী নিউ নর্মালে বাগদেবীর আরাধনা, নতুন আশায় শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পীরা

Last Updated:

প্রথম দফায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে। স্কুল খোলার খবর পৌঁছতেই হাসি ফুটতে শুরু করে কুমোরটুলিতে। কারণ আনলকের পরের নিউ নর্মালে বাগদেবীর আরাধনাই প্রথম পুজো।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#শিলিগুড়ি: গত বছরে যেখানে শেষটা হয়েছিল, সেখান থেকেই শুরুর অপেক্ষা। সেই আশাতেই প্রহর গুনছেন শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পীরা। গত বছরে সরস্বতী পুজোর পরেই উৎসব বলতে হয়েছিল দোল পূর্ণিমা। তাও আবার ভিড় এড়াতে নেওয়া হয়েছিল বেশ কিছু পদক্ষেপ। গোটা বিশ্বে থাবা বসিয়েছিল করোনা ভাইরাস। ধীরে ধীরে তার জাল বিস্তৃত হয় আমাদের দেশেও। করোনা মোকাবিলায় জারি করা হয় দেশজুড়ে লকডাউন।
advertisement

গোটা দেশ গৃহবন্দি হয়ে পড়ে। একের পর এক উৎসব, পার্বন কেটেছে গৃহবন্দি অবস্থায়। বাঙালির অন্যতম পার্বণ বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নেওয়ার উৎসব থেকে অক্ষয় তৃতীয়ার পুজোও হয়নি কোনও দোকানেই। বাড়িতেই ছোট করে পালন করা হয় অন্যান্য পুজোও। গণেশ পুজোরও অনুমতি মেলেনি। বিশ্বকর্মা পুজো হয় স্বাস্থ্য বিধি মেনে। যার জেরে শিলিগুড়ির কুমোরটুলিতে নেমে আসে আঁধার।

advertisement

বাঙালির সেরা পার্বন দুর্গা পুজোতেও এবার বাজেটে অনেক কাটছাঁট করা হয়েছিল। প্রতিমার বাজেটও অনেকটাই কমানো হয়। বড় মাপের মৃণ্ময়ী প্রতিমার বায়না হয়নি বললেই চলে। ধীরে ধীরে লকডাউন কাটিয়ে আনলকে ফিরেছে দেশ। প্রায় ১১ মাস পর খোলে স্কুলের দরজা। প্রথম দফায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ক্লাস হচ্ছে সম্পূর্ণ কোভিড বিধি মেনে। স্কুল খোলার খবর পৌঁছতেই হাসি ফুটতে শুরু করে কুমোরটুলিতে। কারণ আনলকের পরের নিউ নর্মালে বাগদেবীর আরাধনাই প্রথম পুজো।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

দীর্ঘদিনের করোনা এবং লকডাউন কাটিয়ে পুরনো অবস্থায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে মানুষ। ২ দিন আগেই সরস্বতী প্রতিমার ডালি নিয়ে হাজির মৃৎ শিল্পীরা। লকডাউনের জেরে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়লেও প্রতিমার দাম বাড়ানো হয়নি বলে দাবি মৃৎশিল্পীদের। কেননা, করোনা অনেকেরই পেশা বদলে দিয়েছে। শিলিগুড়ির শিল্পী জীবন পাল, নিরঞ্জন পালেরা জানান, প্রতিমার দামে কোনও হেরফের হয়নি। গতবারে যা দাম ছিল, এবারও তা অপরিবর্তিত। কিছু বড় আকারের প্রতিমার বায়না হয়েছে। তবে তুলনায় অনেকটাই কম। ছোটো এবং মাঝারি আকারের প্রতিমারই চাহিদা রয়েছে। যা শুরু ৩০০ টাকা দিয়ে। আলার অনুযায়ী ৫০০, ৬০০, ৭০০ টাকাতেও মিলছে প্রতিমা। লকডাউনের পর কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখবেন, আশায় শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পীরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
করোনা পরবর্তী নিউ নর্মালে বাগদেবীর আরাধনা, নতুন আশায় শিলিগুড়ির মৃৎশিল্পীরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল