নিহত সুপ্রিয় দেবীর স্বামী দেবাশিস দত্ত রায়গঞ্জ জেলা পরিষদে ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন৷ ছেলে স্কুলে পড়ে৷ জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে গয়না আনতে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন তিনি৷ সেখান থেকে বাড়িতে ফেরেন ওই গৃহবধূ৷ ঘটনার সময় সুপ্রিয়াদেবীর স্বামী দেবাশিসবাবু অফিসে গিয়েছিলেন৷ স্কুলে ছিল ছেলে৷ ফলে বাড়িতে একাই ছিলেন ওই মহিলা৷
আরও পড়ুন: তিহার সংশোধনাগারই সায়গলের আগামীর ঠিকানা! ইঙ্গিত আদালতের রায়ে
advertisement
বিকেলে স্কুল থেকে ফিরে সুপ্রিয়াদেবীর ছেলেই বাড়ির ভিতরে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে৷ তার চিৎকারেই পাড়া প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে যায়৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ৷
আরও পড়ুন: স্বামী বাইরে! রাত ১২টায় গৃহবধূর ঘরে পর-পুরুষ! ভয়াবহ কাণ্ড ঘটাল গ্রামের মানুষ!
ভরসন্ধ্যায় বাড়ির ভিতরেই গৃহবধূকে কে বা কারা এ ভাবে খুন করল, তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায়৷ প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে পরিচিত কেউ জড়িত৷ তদন্তে পুলিশ কুকুরও নিয়ে আসা হয়৷ ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে স্টেশনের দিকে ছুটতে থাকে কুকুরটি৷ ফলে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই পথেই সম্ভবত আততায়ী পালিয়েছে৷ ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখেছেন তদন্তকারীরা৷ তবে চুরি বা ডাকাতির উদ্দেশ্যে যে গৃহবধূকে খুন করা হয়নি, সে বিষয়ে একরকম নিশ্চিত তদন্তকারীরা৷ ইতিমধ্যেই একজন সন্দেহভাজনকে চিহ্নিতও করা গিয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে৷
ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পুলিশের ডিএসপি লিয়ং তামাং বলেন, 'প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পরিচিত কেউই খুনের সঙ্গে যুক্ত৷ তদন্ত চলছে৷ এখনই এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয়৷'